বর্তমানে টাইপ টু ডায়বেটিসে আক্রান্তের সংখ্যা উর্দ্ধমুখী। নিয়মিত প্রায় কয়েক হাজার মানুষ এই তালিকায় যুক্ত হন। তবে এই রোগ অনিয়ন্ত্রিত হলে নানা গুরুতর সমস্যা দেখা দেয়। অনেক সময় দেখা যায় রক্তে অতিরিক্ত শর্করা থাকলে তা কিডনির মারাত্মক ক্ষতি করে।

ব্লাড সুগারের ফলে কিডনির সমস্যায় আক্রান্ত হলে তাকে ডাক্তারি ভাষায় ডায়াবেটিক নেফ্রোপ্যাথি বলে।

কোন বয়সে জরায়ুতে সিস্টের সমস্যা বেশি দেখা যায়, জেনে নিন

ডায়বেটিস হলে বিভিন্ন রকমের অসুখ শরীরকে গ্রাস করে। সেই রোগগুলি হল- ব্লাড প্রেসার, কোলেস্টরল, এবং রক্তনালীর মধ্যে প্লাক তৈরি হয়। এই কারণে কিডনির অসুখ থাকলে তা দ্রুত খারাপ আকার ধারণ করে।

ডায়াবেটিক নেফ্রোপ্যাথির কী কী লক্ষণ দেখা যায়-

১) হাত-পা, মুখ ফুলে যাওয়া, ২) ঘুমাতে সমস্যা, ৩) অমনোযোগী হয়ে যাওয়া, ৪) বমি বমি ভাব,৫) দুর্বলতা, ৬) চুলকানি ও ত্বকের সমস্যা, ৭) দৃষ্টি শক্তি কমে যাওয়া, ৮) অনিয়মিত হৃদস্পন্দন, ৯) পেশিতে বারংবার টান ইত্যাদি।

বয়সের আগেই বার্ধক্য হানা দিচ্ছে, রাতে ঘুমনোর আগে করুন এই কাজ 

এই ধরনের কোনও লক্ষণ দেখা দিলেই চিকিত্‍সকের পরামর্শ নিন। কারণ এক দিনে কোনও রোগ হয় না, দীর্ঘদিনের গাফিলতির ফলে কোনও মারাত্মক রোগ হয়। তাই এই ধরণের উপসর্গগুলি বারংবার দেখা গেলে ব্লাড টেস্ট করান। মূলত রক্তে ইউরিয়া ও ক্রিয়েটিনিন দেখে নেওয়া হয়। কারণ এই দুটি উপাদান শরীরে বেশি থাকলে বুঝতে হবে কিডনির সমস্যা রয়েছে।

রোগের চিকিত্‍সা কী?

এই রোগ শনাক্ত হলে রোপগের সত্ত্বর চিকিত্‍সা করান। পাশাপাশি জল খাওয়া ও প্রোটিনের মাত্রার উপর লক্ষ্য রাখুন।