মুম্বাই ক্রুজ ড্রাগস মামলায় আরিয়ান খানের গ্রেফতার বলিউড এবং মাদকের সাথে এর সম্পর্ককে আবার আলোকিত করেছিল। রণবীর কপূর থেকে সঞ্জয় দত্ত, অতীতে অনেক সেলিব্রিটি মাদকে আসক্ত হওয়ার বিষয়ে কথা বলেছেন।

এখানে সেলিব্রিটিদের একটি তালিকা রয়েছে যারা খোলাখুলিভাবে তাঁদের মাদকাসক্তি নিয়ে আলোচনা করেছেন এবং তাঁদের ভক্তদের মাদকে ‘না’ বলতে শেখার জন্য অনুপ্রাণিত করেছেন।

রণবীর কপূর

একটি সাক্ষাৎকারে, রণবীর কপূর উল্লেখ করেছিলেন যে তিনি ফিল্ম স্কুলে থাকাকালীন তিনি গাঁজা সেবন করেছিলেন। তিনি আরও প্রকাশ করেছিলেন যে ‘রকস্টার’-এর শুটিংয়ের সময় এটি আবার ব্যবহার করেছিলেন কারণ এই গাঁজা তাঁকে চরিত্রে প্রবেশ করতে সহায়তা করেছিল।

ফরদিন খান

২০০১ সালে কোকেন রাখার অভিযোগে ফরদিন খানকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তারপর অভিনেতা একটি ডিটক্সিফিকেশন কোর্সের মাধ্যমে গিয়েছিলেন এবং মামলায় অনাক্রম্যতা চেয়ে একটি আবেদন করেছিলেন, যা ২০১২ সালে মঞ্জুর করা হয়েছিল। মাদকাসক্তি সম্পর্কে টাইমস অফ ইন্ডিয়ার সাথে কথা বলার সময় ফরদিন বলেছিলেন, মাদকদ্রব্য বা অ্যালকোহল অথবা প্রেসক্রিপশনে দেওয়া কোনও ড্রাগস প্রাণঘাতী নির্ভরতা তৈরি করে।

আরও পড়ুন: Phunsukh Wangdu: থ্রি ইডিয়টসের আসল ফুনসুক ওয়াংডু, ফেল করা ছাত্ররাও পড়াশোনা করে বিজ্ঞানী হয়!

আরও পড়ুন: Jisshu Sengupta: বলিউডের এই সিনেমার সিকোয়েসে দেখা যাবে যিশু সেনগুপ্তকে, জল্পনা তুঙ্গে

সঞ্জয় দত্ত

সঞ্জয় দত্ত মাদকদ্রব্যের অপব্যবহারের সাথে তার সংগ্রাম সম্পর্কে সোচ্চার হয়েছিলেন। কয়েক বছর আগে সিমি গারেওয়ালের চ্যাট শোতে, সঞ্জয় বলেছিলেন যে তিনি সত্যিই শান্তিতে ছিলেন এমন একটি পর্ব তিনি মনে করতে পারেন না। কলেজে থাকতেই মাদকের সঙ্গে পরিচয় সঞ্জুবাবার।

সঞ্জয় দত্ত পরে অভ্যাস ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন এবং এখন চার দশকেরও বেশি সময় ধরে তিনি মাদকমুক্ত।

প্রতীক বব্বর

প্রতীক আইএএনএস-এর সাথে একটি সাক্ষাৎকারে মাদকের বিরুদ্ধে তাঁর যুদ্ধের কথা খুলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “আমার জীবনের এমন একটি অংশ ছিল যা সম্পর্কে লোকেরা জানত না। এত বছর, মানুষ, ভক্ত এবং প্রশংসকরা আমাকে একজন ভাল অভিনেতা, একজন সুখী মানুষ হিসাবে একটি নির্দিষ্ট উপায়ে দেখেছিল। কিন্তু তা ছিল না। আমি খুশি ছিলাম না, আমি ভাল ছিলাম না। আমি একজন মাদকাসক্ত ছিলাম।”

সোমি আলি

সোমি আলি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কলেজে এবং পরে ব্যাঙ্গালোরে প্রয়াত অভিনেত্রী দিব্যা ভারতীর সাথে মাদক নেওয়ার চেষ্টা করার কথা স্বীকার করেছেন। তিনি লিখেছেন, “আমার স্বীকার করতে কোন লজ্জা বা সংকোচ নেই যে ১৫ বছর বয়সে, যখন আমি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ছিলাম, সমবয়সীদের চাপের কারণে মাদক নিই। কিন্তু শীঘ্রই, আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে এটি আমার জন্য নয়। তারপর আবার ব্যাঙ্গালোরে, প্রয়াত দিব্যা ভারতীর সাথে একটি শুটিংয়ের সময়, আমরা দুজনেই গাঁজা সেবন করি। আক্ষরিক অর্থেই সেই শেষবারের মতো আমি কোনও ধরনের নেশা করেছিলাম।”