মানুষের জীবনে নানা রকমের সমস্যা থাকে, যেমন ব্যক্তিগত সমস্যা, কর্মক্ষেত্রে
জটিলতা বা অন্য কিছুতে নানা ধরনের দ্বন্দ্ব, আত্মবিশ্বাসের অভাব। এই সমস্ত কিছুর কারণে মানসিকভাবে দুর্বল থাকে অনেকেই। আর এই সমস্যা যদি দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকে তাহলে তা অবসাদে পরিণত হয়।
এক বার মনে অবসাদ জাঁকিয়ে বসলে সহজে
তা যেতে চায় না। অনেকেই সেই অবসাদ কাটাতে ভরসা রাখেন মুঠো মুঠো ওষুধে। তাতে যে সব
সময়ে সমাধান পাওয়া যায়, তা নয়। বরং উল্টে
শারীরিক নানা সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে। তার চেয়ে মন হালকা রাখতে ভরসা রাখুন
জাপানি কিছু পদ্ধতিতে। জেনে নিন, মন ফুরফুরে রাখতে
কী করবেন।
Skin Care Tips: চাঁদিফাটা গরমে যতই ত্বকে ট্যান পড়ুক না কেন মুলতানি মাটিতেই দূর হবে সমস্ত সমস্যা
ইকেবানা
বাড়িতে অতিথি এলে কিংবা কোনও উৎসবের
দিনে অনেকেই ফুল দিয়ে ঘর সাজান। অন্দরে প্রবেশ করেই যদি এক গোছা ফুল চোখে পড়ে, তা হলে মন ভাল হয়। রং এবং রূপ অনুযায়ী ফুল সাজানো সহজ নয়।
তবে এই কাজটি করলে মন শান্ত থাকে। জাপানিরা যাকে ‘ইকেবানা’ বলেন।
ওনসেন
মনের অন্দরে জমে থাকা মেঘ দূর করতে জাপানি
‘ওনসেন’ পদ্ধতি বেশ
কার্যকর। উষ্ণ জলে স্নান করে মন ভাল করার এই পদ্ধতি বেশ জনপ্রিয়। গরম জল পেশিগুলি
শিথিল করে, রক্ত সঞ্চালন সচল রাখে, উদ্বেগ দূর করে।
মেডিটেশন বা ধ্যান
আলো-বাতাসের অবাধ যাতায়াত রয়েছে, এমন জায়গায় হাঁটু মুড়ে পদ্মাসনে বসে
চোখ বন্ধ করে ধ্যান করার পদ্ধতিকে জাপানি সংস্কৃতিতে ‘জ়াজেন’ বলে। রোজ দিনের
কিছু ক্ষণ সময় ধ্যানমগ্ন থাকলে মন এবং মস্তিষ্ক দুইই শান্ত হবে। মনের ভার কমবে
অনেকটাই।
Health Tips: রোজকার দিনের এই ভুল অভ্যাসই সুস্থ শরীরকে ব্যস্ত করে তোলে, তাই স্বভাবে কী কী বদল আনা প্রয়োজন জেনে নিন
কিনহিন
হাঁটার সময় মন চঞ্চল হতে দেওয়া যাবে
না। একটা জায়গায় স্থির রাখতে হবে। এই অনুশীলনকে জাপানে ‘কিনহিন’ বলা হয়। ধীরে ধীরে
পথ হাঁটলে মন শান্ত হয়। মন একটি জায়গায় স্থির থাকে। তবে এটি নিয়মিত করতে হবে।
ধারাবাহিকতা না থাকলে কোনও সুফল মিলবে না।
শিনরিন-ইয়োকু
জঙ্গল ভালবাসেন? তা হলে মন খারাপ হলে কিংবা অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়লে জঙ্গলে
চলে যান। বুনো গাছের গন্ধ আর জঙ্গলের আলো-আঁধারিতে মন শান্ত হতে বাধ্য। জাপানে
যাকে ‘শিনরিন-ইয়োকু’ বলা হয়। গবেষকেরা জানাচ্ছেন, সবুজ গাছপালার
মধ্যে বেশিক্ষণ থাকলে কর্টিসল হরমোন কম ক্ষরিত হয়। এই হরমোন ক্ষরণের কারণেই বাড়ে
অবসাদ।