বর্তমাণে বহু তারকারাই তাঁদের ফিটনেসের সুবাদে পরিচিত। জিম, যোগা, ওয়েট লিফটিং ও বিভিন্ন ধরণের ডায়েট করে নিজেদের গ্ল্যামার বজায় রাখেন তাঁরা। তবে তা কী আদেও কাজে লাগছে?
সম্প্রতি সুস্মিতা সেনের একটি টুইটে জানিয়েছেন, তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হন। তাঁর বুকে স্টেন্ট বসানো হয়েছে। খবর প্রকাশ্যে আসতেই আবারও প্রশ্নের ঝড় ওঠে, তা হলে ফিটনেসের সংজ্ঞাটা আসলে ঠিক কী? ৪৭ বছর বয়সেও অভিনেত্রীকে দেখেই বোঝা যায় যে তিনি কতটা স্বাস্থ্য সচেতন। খাওয়াদাওয়া থেকে শরীরচর্চা সবই করেন নিয়ম মাফিক। একই প্রশ্ন উঠেছিল ২০২১ সালে যখন অভিনেতা সিদ্ধার্থ শুক্লা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তিনিও ভীষণ স্বাস্থ্য সচেতন ছিলেন।
বিশেসজ্ঞদের মতে, তারকারা প্রচন্ড মানসিক চাপের মধ্যে থাকেন। বিভিন্ন ওয়ার্কিং আওয়ার, ঘুমের অভাব, অত্যধিক মদ্যপান এবং গভীর রাত পর্যন্ত জেগে থাকা তাঁদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তাই রোজের জীবনে অনিয়ম করে কয়েক ঘণ্টা পরিশ্রম করলে হৃদরোগ এড়ানো সম্ভব নয়। শুধু শরীরচর্চা করে ফিট থাকা যায় না।
শরীরচর্চা ছাড়াও সুস্থ থাকতে এবং হৃদরোগ থেকে কী কী করনীয়?
১) পর্যাপ্ত ঘুম: হৃদরোগ থেকে বাঁচতে পর্যাপ্ত ঘুম ভীষণ প্রয়োজনীয়। এক জন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষকে সারা দিনে ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানো উচিত। কম ঘুমের কারণে শরীরে স্ট্রেস হরমোন উৎপন্ন হয়। তার ফলেই বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি তৈরি হয়।
২) সঠিক ডায়েট: ডায়েট করা মানে কিন্তু উপোস করে থাকা নয়। তাই ডায়েটের তালিকায় কী কী খাবার থাকছে, তা দেখা অত্যন্ত জরুরি। খাদ্য উপাদানের মাধ্যমে শরীরে প্রয়োজনীয় ফাইবার, প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাট যায় সেটাই ডায়েটের আসল লক্ষ্য। শুধুমাত্র ওজন নিয়ন্ত্রনে রাখার জন্য কিন্তু ডায়েট নয়।
৩) ইচ্ছেমতো ওষুধ খাওয়া: প্রায় সকলেই সামান্য মাথা ব্যথা, পেটে ব্যথা হলে তা সারানোর জন্য নিজেরাই ওষুধ খেয়ে থাকেন। তাতে ব্যাথা দূর হলেও এর প্রভাব পরে বোঝা যায়। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া দীর্ঘ দিন ধরে এই ধরনের ব্যথার ওষুধ খেতে থাকলে শুধু হৃদরোগ নয়, কিডনিসহ আরও বিভিন্ন শারীরিক সমস্যাও দেখা দিতে পারে।