মহাত্মা গান্ধিকে বলা হয় জাতির জনক। আজ
তাঁর সম্পরকে কিছু বিষয় জেনে নেওয়া যাক।
দক্ষিণ আফ্রিকায় থাকার সময়,
গান্ধি ১৮৯৯ সালের অ্যাংলো বোয়ার যুদ্ধে একজন স্বাস্থ্যকর্মী হিসাবে
কাজ করেছিলেন। সেই সঙ্গে তিনি যুদ্ধের ভয়াবহতা দেখে অহিংসার পথে যাত্রা শুরু
করেছিলেন।
গান্ধির নাগরিক অধিকার আন্দোলন মোট ৪টি
মহাদেশ এবং ১২টি দেশে পৌঁছেছিল।
বিশ্বে মহাত্মা গান্ধি একজন সম্মানীয়
ব্যক্তি। তিনি ভারতের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছিলেন। তাঁর সম্মানে একটি ডাকটিকিট
জারি করেছিলেন। গান্ধির মৃত্যুর ২১ বছর পর ব্রিটেনে তাঁর নামে একটি ডাকটিকিট জারি
করে।
ভারতে ছোটখাটো রাস্তা বাদে,
মোট ৫৩টি বড় রাস্তার নাম মহাত্মা গান্ধির নামে রাখা হয়েছে। আর
বিদেশে মোট ৪৮টি রাস্তার নামকরণ করা হয়েছে তাঁর নামে।
গান্ধি দক্ষিণ আফ্রিকার ডারবান,
প্রিটোরিয়া এবং জোহানেসবার্গে মোট তিনটি ফুটবল ক্লাব প্রতিষ্ঠা
করতে সাহায্য করেছিলেন।
মহাত্মা গান্ধির শেষকৃত্যের মিছিল ছিল ৮
কিলোমিটার দীর্ঘ।
১৩ বছর বয়সে,
গান্ধি তাঁর থেকে এক বছরের বড় কস্তুরবা গান্ধির সঙ্গে বিয়ে
করেছিলেন। বিবাহ সংক্রান্ত আচার-অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে এক বছর সময় লেগেছিল। এই
কারণে তিনি এক বছর স্কুলে যেতে পারেননি।
গান্ধিজি আজীবন শান্তির কথা বলে
এসেছিলেন। তারপরেও গান্ধিজি এখনও নোবেল শান্তি পুরস্কার পাননি। যদিও এই পর্যন্ত
তিনি মোট ৫ বার মনোনয়ন পেয়েছেন।