কোলেস্টেরলের
সমস্যা এখন মানুষের ঘরে ঘরে। আমাদের লাগামছাড়া জীবনযাপন ও বদ অভ্যাস যদিও এই জন্য
অনেকাংশে দায়ি। তবে কারণ যাই হোক, এই কোলেস্টেরল যে কোনও মানুষের
জন্যই খুব বিপজ্জনক। এটি নানা রক্তচাপ বৃদ্ধি, হৃদরোগের মতো নানা ধরনের বিপদের আশঙ্কা বাড়িয়ে দিতে পারে। তবে
আয়ুর্বেদ শাস্ত্র বলছে, কিছু খাওয়ার খেলে আপনার নিয়ন্ত্রণে থাকবে কোলস্টেরল। আর এটি আপনার বিপদের ঝুঁকি অনেক কমিয়ে দেবে।
দেখে নিন কী
কী খাবার খাবেন-
আমলকি: কাঁচা আমলিকে খেলে নিয়ন্ত্রণে
থাকে কোলেস্টেরল। এতে বিপুল উপকার পাওয়া যায়। সেটা সবসময় সম্ভব না হলে আমলকি চূর্ণ, আমলকির ট্যাবলেট খেতে পারেন। তাতেও সমস্যা কমবে।
ওজন কমাতে আদর্শ ড্রাগন ফল, রয়েছে আরও একাধিক উপকার
জিরে, ধনে এবং মৌরি: এই
তিনটি দিয়ে পানীয় বানিয়ে নিতে পারেন। চায়ের মতো করে খেতে পারেন। সেটি ভাল না লাগলে
তিনটি একসঙ্গে মুখে রাখতে পারেন। ভারী খাবারের পরে এগুলি হজম করাতে সাহায্য করবে।
অর্জুন
গাছের ছাল: কোলেস্টেরলের
মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে চায়ের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন অর্জুন গাছের ছাল। তাতে
উপকার পাবেন। তবে অর্জুন ট্যাবলেটও পাওয়া যায়। সেটিও খেতে পারেন।
গুগ্গুল: ত্রিফলার সঙ্গে মিশিয়ে খেতে
পারেন। এমনিও খালি মুখে খেতে পারেন এটি। তাতে কমবে কোলেস্টেরলের সমস্যা।
লেবু এবং
ভিনিগার: ভারী খাবার
খাওয়ার পরে হালকা গরম জলে লেবু এবং ভিনিগার মিশিয়ে
খান। তাতে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমবে।
মানসিক চাপ মাত্রা ছাড়াচ্ছে, নিয়ন্ত্রণে রাখুন এই উপায়ে
যষ্ঠিমধু: চায়ের সঙ্গে খেতে পারেন। আলাদা
করে যষ্ঠিমধুও খেতে পারেন। তাতে কমবে কোলেস্টেরলের সমস্যা।
রসুন: খালি পেটে রসুনের একটি করে কোয়া
খান। তাতেও কমে যাবে কোলেস্টেরলের মাত্রা।
আদা: এটি কোলেস্টেরল মাত্রা ঠিক রাখতে
বিশেষ উপকারি। আদা কুচি বা সকালে খালি পেটে গরম জলে অল্প আদার গুঁড়ো মিশিয়ে খেতে
পারেন। ফল পাবেন।
ত্রিফলা: আমলকি, হরিতকি, বহেরা— এই তিনটি মিশিয়ে হয় ত্রিফলা। সকালে খালি পেটে
ত্রিফলার জল খেলে ঠিকঠাক থাকে কোলেস্টেরলের মাত্রা।