প্রত্যেক মানুষেরই মুখে পাতলা লোম থাকে। কেউ পার্লারে আবার কেউ বাড়িতেই এই রোম তুএ থাকেন। আবার অনেকে
রয়েছেন এগুলো তোলা পছন্দ করেন না।
পার্লারে যে পদ্ধতিতে মুখের লোম তোলা
হয় তা বেশ কষ্টকর পদ্ধতি। আবার রেজারে নিয়মিত লোম তোলাও একেবারে ভাল ব্যাপার নয়।
এতে ত্বকের অনেক বেশি ক্ষতি হয়। আর মুখ খুবই স্পর্শকাতর। তাই বেশি রেজার ব্যবহার
না করাই ভাল।
শ্যাম্পুর সঙ্গে মিশিয়ে নিন এই উপাদান, চুল হবে ঝকঝকে ও খুশকিহীন
এজন্য রইল বিশেষ একটি টিপস। বাড়িতে
এই কয়েকটি উপাদান মিশিয়ে একটা প্যাক বানিয়ে নিন। আর তা দিয়েই তুলে নিন মুখের
যাবতীয় লোম। মূলত আপার লিপসেই অতিরিক্ত লোম হয়। আর থাকে থুতনিতেও।
পেঁয়াজের মুখ কেটে নিয়ে গ্রেট করে
নিতে হবে। এক চামচ পেঁয়াজের রস লাগবে। পেঁয়াদের রসের মধ্যে পাঁচ ফোঁটা পাতিলেবুর
রস, একটু কোলগেট পেস্ট মিশিয়ে নিতে হবে। তিন
থেকে চারদিন এই মিশ্রণ লাগাতে হবে।
পেঁয়াজ আর কোলগেট একসঙ্গে মিশিয়ে
লাগালে লোমকূপের গোড়া নরম হতে থাকে। এই মিশ্রণের মধ্যে এক চামচ চালের গুঁড়ো
মেশাতে হবে। মিশ্রণে একটু জল মিশিয়ে নিন। এই পেস্ট বানিয়ে ১৫ মিনিট রেখে তা লোমে
লাগিয়ে নিতে হবে।
যেখানে অতিরিক্ত লোম আছে সেখানে
লাগান। এই মিশ্রণ তিন থেকে চারদিন টানা লাগাতে হবে আর তা ১০-১৫ মিনিট লাগিয়ে
রাখুন। যত ভাল হাতে স্ক্রাব করে নিতে পারবেন ততই ভাল। এরপর ভিজে কাপড় দিয়ে মুখ
মুছে নিন।
বিনা পরিশ্রমেই শীতের সাজ হবে চোখ ধাঁধানো, শুধু মেনে চলুন এই ৩ উপায়
লোমের গোড়া একবার দুর্বল হয়ে পড়ে
গেলে সেখানে আর নতুন লোম গজাবে না। রান্নার হলুদের মধ্যে একটু বেকিং সোদা মেশান।
হাফ চামচ করে নিন। এর মধ্যে হাফ চামচ চালের গুঁড়ো জল দিয়ে গুলে পেস্ট বানিয়ে নিন।
এই পেস্টও যেখানে লোম গজায় সেখানে লাগিয়ে নিতে পারেন।
রোজ একই ভাবে এই টোটকা মানতে হবে।
এমন নয় যে একদিন মাখলেই সব লোম পড়ে যাবে। এটি একেবারে প্রাকৃতিক পদ্ধতি। টানা
লাগিয়ে নিলে তবেই কাজ হবে। এই পদ্ধতি নির্ভর করে লোমের প্রকৃতির উপর।