শোকের ছায়া নেমে
এল সঙ্গীত জগতে। প্রয়াত
শাস্ত্রীয় সঙ্গীত শিল্পী উস্তাদ রশিদ খান। মঙ্গলবার শহরের একটি বেসরকারি হাসাপাতালে বিকেল ৩.৪৫ মিনিট নাগাদ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন
তিনি। মঙ্গলবার সকালেই শারীরিক অবস্থার
অবনতি হয়েছিল সঙ্গীতশিল্পীর। ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল তাঁকে। বাইপাসের ধারে
বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৬ বছর।
বেশ অনেকদিন
ধরেই হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন সঙ্গীতশিল্পী রশিদ খান। মাঝে ২০২৩ সালের শেষের দিকে তাঁর
স্বাস্থ্যের উন্নতি লক্ষ্য করা গিয়েছিল। মঙ্গলবার সকালে আচমকাই তাঁর অবস্থার
অনেকটা অবনতি হয়। বছরের শেষে যদিও তাঁর স্বাস্থ্যের অনেকটাই উন্নতি হয়েছিল।
চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন। এর মধ্যে
তাঁকে রাইলস টিউব দিয়ে খাওয়ানো হয়েছে। এমনিতেও স্ট্রোকের ফলে তাঁর বাঁ দিক
পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল।
এমনিতেই
দীর্ঘদিন ধরে সঙ্গীতশিল্পী রশিদ খান প্রস্টেট ক্যান্সারে ভুগছিলেন। সেখান থেকে
ধীরে ধীরে তিনি সুস্থ হয়ে উঠছিলেন। তার মধ্যেই মস্তিষ্কে একাধিকবার রক্তক্ষরণ হয়।
এরপরই তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেই থেকে রশিদ খান চিকিৎসাধীন ছিলেন। বেলা ৩টে ৪৫ মিনিটে সব শেষ।
উস্তাদ রশিদ
খানের জন্ম উত্তরপ্রদেশের বাদাউনে। উস্তাদ গুলাম মুস্তাফা খানের ভাইপো তিনি। বড় হয়েছিলেন
সঙ্গীত পরিবারে। কাকাই প্রথম শিল্পীকে মুম্বই নিয়ে যান। সেখানেই গানের তালিম নেন।
এরপর উস্তাদ নিসার হুসেন খানের কাছে বাড়িতেই গানের তালিম নেন। শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে
তাঁর বিপুল তাঁর বিপুল পরিচিতি। গান গেয়েছেন হিন্দি ছবিতেও। 'যব উই মেট', 'কিসনা', 'হাম দিল দে চুকে সনম', 'মাই নেম ইজ খান', 'রাজ ৩'-র মতো বলিউড ছবির পাশাপাশি 'মিতিন মাসি', 'বাপি বাড়ি যা', 'কাদম্বরী'-র মতো বাংলা ছবিতেও রয়েছে তাঁর গান।
মঙ্গলবার
বিকেলেই সঙ্গীতশিল্পীকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে ছিলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, পুলিশ
কমিশনার বিনীত গয়াল। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, আজ রাতে পিসওয়ার্ল্ডে শাহিত থাকবে তাঁর দেহ। আগামীকাল তাঁর দেহ নিয়ে যাওয়া হবে রবীন্দ্রসদনে। এরপর সেখানেই শেষ শ্রদ্ধা জানানো হবে উস্তাদ রশিদ
খানকে।