রাজেশ খান্না ছিলেন তাঁর যুগের অন্যতম সেরা অভিনেতা। অ্যাংরি ইয়ং ম্যান পিরিয়ড শুরু হওয়ার আগে তিনিই ছিলেন বলিউড ইন্ডাস্ট্রির মেরুদণ্ড। কাকা তাঁর ছবির প্রতিটি দৃশ্যকে নিখুঁত করতে কোনও কসরত রাখতেন না। ‘আঁচল’ ছবির সময়ও তিনি এমনই কিছু করেছিলেন। কিন্তু, এই ছবির শুটিং চলাকালীন এমন একটি ঘটনা ঘটে যে, সহ-অভিনেতার সঙ্গে রাজেশ খান্নার বন্ধুত্ব চিরতরে ভেঙে যায়। এই সহ-অভিনেতা আর কেউ ছিলেন না, ছিলেন অমল পালেকার। চলুন জেনে নিই কি ছিল সেই গল্প।

আরও পড়ুন: Mukesh: এক সময় প্রচন্ড কষ্ট করেছিলেন মুকেশ, মারা যান গান গাইতে গাইতেই

আরও পড়ুন: ২ সন্তান, ১২ বছরের সম্পর্ক, তারপরও কেন বিয়ে করেননি শাকিরা

আসলে, কখনও কখনও চলচ্চিত্রে কিছু দৃশ্যের চাহিদা এমন হয় যে অভিনেতারা তা মানতে রাজি হন না। এমন পরিস্থিতিতে তারকাদের রাজি করাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন নির্মাতা-পরিচালক। এমনই একটি গল্প ‘আঁচল’ ছবির। রাজেশ খান্না, রেখা, অমল পালেকার, প্রেম চোপড়া এবং রাখি ১৯৮০ সালের এই ছবিতে প্রধান অভিনেতা হিসেবে অভিনয় করেছিলেন। এই ছবির পরিচালক ছিলেন অনিল গাঙ্গুলি। ছবির গল্পে এমন একটি দৃশ্য ছিল, যা করতে রাজি হননি অমল পালেকার। অমল পালেকর সেই দৃশ্যটি করতে অস্বীকার করেছিলেন। পরিচালকরা তাকে অনেক বোঝানোর পরও তিনি নিজের সিদ্ধান্ত থেকে নড়লেন না। সূত্রের খবর, এর পর রাজেশ খান্না এবং পরিচালক অনিল গঙ্গোপাধ্যায় মিলে তাঁকে একটি কৌশলের মাধ্যমে এই দৃশ্যটি করতে দেন। দৃশ্যটি ছিল অমল পালেকরকে রাজেশ খান্নার কাছে তাঁর ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চাইবেন। তেমনটাই হল, দৃশ্য অনুযায়ী রাজেশ খান্না অমল পালেকরকে লাথি মারলেন। এরপরই অবাক হলেন অমল পালেকর। লাথিতে অমল পালেকার মাটিতে পড়ে গেলে রাজেশ খান্না এবং অনিল গঙ্গোপাধ্যায় দুজনেই হাসতে লাগলেন, কিন্তু অমল পালেকর চুপ করে রইলেন। এর পর তিনি আর রাজেশ এবং পরিচালকের সঙ্গে কাজ করেননি। রাজেশ খান্না ছিলেন অমলের সিনিয়র। রাজেশ খান্নাকে তিনি তাঁর অন্যতম বন্ধু বলে মনে করতেন। কিন্তু এই ঘটনারর পর দুজনের বন্ধুত্ব চিরতরে ভেঙে যায়।