বলিউডের হি-ম্যান ধর্মেন্দ্র খুব কমই
নিজের জন্য সিনেমা চেয়ে পরিচালক-প্রযোজকদের দ্বারস্থ হয়েছেন,
কিন্তু ছেলে সানি দেওলের কেরিয়ারকে প্রতিষ্ঠিত করতে তিনি কোনও
কসুর করেননি। একবার ধর্মেন্দ্র মিঠুন চক্রবর্তীকে সানির জন্য এক
বিশাল ত্যাগের অনুরোধ করেছিলেন। সবথেকে
বড় কথা মিঠুনও সানির কেরিয়ারের কথা ভেবে
সহজেই এই ত্যাগ স্বীকার করেছিলেন। কী ছিল এই
আত্মত্যাগ? সানির জন্য ধর্মেন্দ্রকে কী করতে হয়েছিল, তা আজ জেনে নেওয়া
যাক।
একটা সময় ছিল যখন সানি দেওল ফিল্ম
ইন্ডাস্ট্রিতে একজন দুর্দান্ত অভিনেতা হিসাবে নিজেকে প্রমাণ করেছিলেন। সেই সময় সবচেয়ে বড় প্রযোজকরাও সানির উপর অর্থ বিনিয়োগ
করতে দু’বার ভাবতেন না। কিন্তু একটা সময় আসে যখন কেউ সানিকে নিজেদের ছবিতে নিতে
প্রস্তুত ছিলেন না। সেই সময় ধরম-পুত্রের দশটি ছবি ফ্লপ
করেছিল।
ছেলের কেরিয়ার কি হবে ভেবে যখন ব্যাকুল ধর্মেন্দ্র,
তখন তিনি খবর পান প্রযোজক রাজকুমার সন্তোষী একটি নতুন অ্যাকশন ছবির
উপর কাজ করা শুরু করেছেন।। এদিকে সেই সময় কেউই ফ্লপ সানিকে নিয়ে কাজ করতে চাইছেন
না। ধর্মেন্দ্র ছেলের জন্য বলতে গিয়েছিলেন সন্তোষীর কাছে। সেখানে গিয়ে চিত্রনাট্যও
শোনেন। শেষে রাজকুমারকে অনুরোধ করেন নায়কের চরিত্রে সানিকে নিন তিনি।
কিন্তু যতই হিম্যান বলুন না কেন, রাজকুমার জানালেন তিনি নায়ক হিসাবে মিঠুন চক্রবর্তীকে
নিতে চান। তাঁর সঙ্গে কথাও হয়েছে, স্ক্রিপ্ট পছন্দ হয়েছে। এমনকি মিঠুন কাগজপত্রে সইও করে
দিয়েছেন।
এরপর ধর্মেন্দ্র সটান চলে যান মিঠুন
চক্রবর্তীর কাছে। হিম্যান মিঠুনকে বলেন, তিনি যদি রাজকুমার সন্তোষীর সিনেমাটি ছেড়ে দেন, তাহলে সানি তাতে অভিনয় করে আবার নিজের
পায়ের তলার জমি শক্ত করে নিতে পারেন।
সেই সময় মিঠুনের হাতে ২০ টি ছবি। তাই
ধর্মেন্দ্রর প্রতি শ্রদ্ধাবশত তিনি ছবিটি ছেড়ে দেন। পরে রাজকুমারের পরিচালনায়
অ্যাকশন ছবিটি মুক্তি পায়। সেই ছবির প্রযোজনার দায়িত্বে ছিলেন ধর্মেন্দ্র
নিজেই।
সিনেমার নাম ছিল ‘ঘায়েল’। ১৯৯০ সালে চলচ্চিত্রটি মুক্তি পায় এবং সুপার ডুপার হিট
হয়। নায়ক সানি দেওলের অভিনয় প্রসংসিত হয়। তাঁর বিপরীতে নায়িকার ভূমিকায় ছিলেন
মীনাক্ষী শেষাদ্রি।