বিদ্রোহী কবি কাজী নজরু ইসলামের কারার ওই লৌহ কপাট-এ নতুন করে সুর
দিয়েছেন সুরকার এ আর রহমান। তারপর থেকেই উঠেছে বিতর্ক। এবার তীব্র
প্রতিবাদ এল কাজী নজরুল ইসলামের পরিবারের তরফ থেকে। কবির
নাতনি মিষ্টি কাজী জানিয়েছেন, এই ঘটনা দুঃখজনক।
Astrological Tips: দীর্ঘদিন ধরে চাকরির ইন্টারভিউ দিয়ে ব্যর্থ হচ্ছেন, মেনে চলুন এই টোটকা সফলতা নিশ্চিত
সম্প্রতি পরিচালক রাজাকৃষ্ণ মেননের ছবি ‘পিপ্পা’য় ব্যবহার করা হয়েছে নজরুলের লেখা
কারার ওই লৌহ কপাট গানটি। মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে তৈরি ছবিতে নজরুলের গান
ব্যবহার করা হয়েছে। নেট মাধ্যমে গানটি প্রকাশ পেতেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দুই বাংলার বহু
মানুষ।
গান প্রসঙ্গে মিষ্টি কাজী বলেন, “এই গান শুনে মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধ করেছেন, সারা
বিশ্বে এই গান কারাগারের গান হিসেবে চিহ্নিত হয়। একজন সম্মানীয় সুরকার হিসেবে এ আর
রহমান কীভাবে পারলেন আমার দাদার গান নিয়ে এভাবে নিজের মতো সুর করে প্রচার করতে।
আমাদের পরিবারের তরফে তীব্র নিন্দা জানানো হচ্ছে।”
বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনে
স্বদেশ প্রেমের পটভূমিকায় এই গানটি কবি নজরুল ইসলাম রচনা করেন ১৯২১ সালে। দেশবন্ধু
চিত্তরঞ্জন দাশ কারাগারে থাকাকালীন তাঁর পত্নী বাসন্তী
দেবীর অনুরোধে কবি নজরুল এই গানটি লেখেন। বাসন্তী দেবী গানটি প্রথম বাংলার কথা পত্রিকায় প্রকাশ করেন। তাঁরা জেলে এই গানটি গাইতেন বলেও
জনশ্রুতি আছে। ইংরেজ সরকার 'ভাঙার গান' বাজেয়াপ্ত করলে মূল সুরটি হারিয়ে যায়। ইংরেজ শাসনের সমাপ্তি ঘটলে শিল্পী গিরীন চক্রবর্তী এতে সুরারোপ করেন। ততদিনে কবি বাকরুদ্ধ!
গানের আদি শিল্পী গিরীন
চক্রবর্তী। গানটি কলাম্বিয়া রেকর্ড ১৯৪৯ এবং এইচএমভিতে ১৯৫০ সালে গিরীন
চক্রবর্তীর কন্ঠে ধারণ করে। ভারত বিশেষত বাংলায় স্বাধীনতার আন্দোলনে এই গান ছিল প্রেরণার উৎস। ৭০-এ বাংলাদেশের
মুক্তিযুদ্ধেও এই গান ছিল অক্সিজেন।