হাসপাতালের সামনে দাঁড়িয়ে
নিজে মুখে তাঁর মৃত্যু সংবাদ জানাতে গিয়ে মমতা বললেন, ‘‘ভাবতেই পারছি না, রশিদ আর নেই। ওঁর মিষ্টি গলাটা আর শুনতে পাব না। কথাটা বলতে গিয়ে এখনও
আমার গায়ে কাঁটা দিচ্ছে।’’
মঙ্গলবার দুপুর ৩টে বেজে ৪৫
মিনিটে পিয়ারলেস হাসপাতালে প্রয়াত হন রশিদ। সেই সময়ে প্রশাসনিক কাজে জয়নগরে ছিলেন
মমতা। গঙ্গাসাগর থেকে জয়নগর হয়ে তাঁর ফেরার কথা ছিল নবান্নে। কিন্তু পথেই রশিদ খানের শারীরিক অবনতির খবর পান
মুখ্যমন্ত্রী। নবান্নে গিয়ে কোনওরকমে কাজ সামলেই ছুটে
আসেন হাসপাতালে। পিয়ারলেসে পৌঁছেই রশিদের মৃত্যুসংবাদ পান
তিনি।
সাংবাদিক সম্মেলনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রশিদ
খান প্রসঙ্গ স্মরণ করে বলেন, “রাশিদ ছিল আমার ভাইয়ের মতো। খুব
ভাল সম্পর্ক ছিল আমাদের। বাংলা উর্দু মিশিয়ে মিষ্টি করে কথা বলত। ও আমাকে বলত ,
‘তুমি আমার মা আছো’।’’
বাংলার সরকার তাঁকে ‘বঙ্গবিভূষণ’ সম্মানও
দিয়েছিল। মমতা নিজে গান শুনতে ভালবাসেন। শোকগ্রস্ত কণ্ঠে তিনি এদিন বলেন, “ওঁকে উস্তাদ বলা হয়। রবীন্দ্র সঙ্গীতও দারুণ গাইত। সমস্ত ভাষায় দখল ছিল
। সবার সঙ্গে ভাল সম্পর্ক ছিল । মাত্র ৫৫ বছর বয়স। আমি মনে প্রাণে চেয়েছিলাম ও
ফিরে আসুক। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ওঁকে ফেরাতে পারলাম না। রশিদের গান আর আমরা শুনতে
পাব না। ভেবেই আমার দুঃখ লাগছে। একজন অসাধারণ মানুষ ছিল। ওর মৃত্যু আমাদের বড়
ক্ষতি। দেশের ক্ষতি।’’