বলিউডের 'দাবাং' সলমান খান দেখতে দেখতে
৫৭টি বসন্ত পার করলেন। তাঁকে বলিউডের 'গডফাদার'ও বলা হয়।
সলমন খান ১৯৬৫ সালের ২৭ ডিসেম্বর বিখ্যাত
লেখক সেলিম খানের ঘরে প্রথম সন্তান হিসাবে জন্মগ্রহণ করেন।
সলমান খান অভিনয় জগতে পা রাখেন ১৯৮৮
সালে 'বিবি হো তো অ্যাইসি ছবির মাধ্যমে।
এতে তিনি সহায়ক ভূমিকা পালন করেন।
সলমনের আসল নাম আবদুল রশিদ সেলিম সলমন খান।বাবা সেলিম খান এবং ঠাকুরদাদা আবদুল রশিদ খানের নাম নিয়ে সল্লুর
মিয়াঁর নামকরন করা হয়েছিল।
বলা হয়, সলমন খান মাত্র দ্বাদশ শ্রেণি
পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। সল্লু ছোটবেলায় খুব দুষ্টু ছিলেন। স্কুল ও বাড়ি থেকে প্রতিদিনই অভিযোগ আসতেন। মাঝপথেই কলেজের পড়াশোনা ছেড়ে দিয়েছিলেন সলমন খান। তিনি কলেজ ছেড়ে অভিনয় জগতে প্রবেশের সিদ্ধান্ত
নিয়েছিলেন।
সলমন খান সহকারি পরিচালক হিসাবেও কাজ
করেছেন। তাঁর ফিল্মি কেরিয়ার শুরু একজন সহকারি পরিচালক হিসেবে 'ফলক' (১৯৮৮) ছবি দিয়ে। ছবিটিও বক্স অফিসে ভাল ব্যবসা করতে পারেনি।
সলমন ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের জন্য কাজ
খুঁজতে গিয়ে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছিলেন। তিনি পরিচালক জে কে বিহারীর সাথে যোগাযোগ করেছিলেন,
যিনি তখন 'বিবি হো তো অ্যাইসি' ছবিটি পরিচালনা করছিলেন। সলমন সহকারি পরিচালকের কাজ চাইতে গিয়েছিলেন, কিন্তু পেলেন
অভিনেতার ভূমিকা। বলা হয় যে সলমান কখনওই তার বাবা সেলিম খানের নাম ব্যবহার করতে
চাননি, কারণ তিনি বিশ্বাস করেন যে তিনি যাই করবেন
নিজের প্রতিভার জোরেই করবেন।
তাই সলমন নিজের একাধিক পোর্টফোলিও ইন্ডাস্ট্রিতে
বিভিন্ন জায়গায় দিয়েছিলেন। এমন পরিস্থিতিতে বিখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক সুরজ
বরজাতিয়ার চোখ পড়ে সলমন খানের পোর্টফোলিওতে। তিনি সেলিমপুত্রকে অফিসে ডাকেন। সেই সময় 'ম্যায়নে
পেয়ার কিয়া' ছবির
জন্য অভিনেতা দীপক তিজোরি এবং পীযূষ মিশ্রকে শর্টলিস্ট করেছিলেন সুরজ, কিন্তু শেষ পর্যন্ত ছবিটি সলমনের ভাগ্যেই আসে।
এরপর সলমন খানকে 'বাজিগর' ছবির প্রস্তাব দেওয়া হয়, কিন্তু তিনি নেগেটিভ রোলে অভিনয় করতে অস্বীকার করেন। এরপরই শাহরুখ খানের কাছে
প্রস্তাব যায় এবং ছবিটি ব্লকবাস্টার হয়।
সলমন খান সব সময় ফিরোজা রঙের ব্রেসলেট
পরেন। ২০০২ সালে তাঁর বাবা সেলিম ছেলেকে এই ব্রেসলেটটি
দিয়েছিলেন। খবর অনুযায়ী, সলমন খান এটিকে নিজের লাকি চার্ম বলে মনে করেন।
চলচ্চিত্র ছাড়াও সলমন খান ছবি আঁকতে ভালবাসেন।
তাঁর সহ-অভিনেতা এবং বন্ধু আমির খানও সল্লুভাইয়ের আঁকা ছবি কিনেছেন। এছাড়াও সলমন গান গান এবং চলচ্চিত্র লেখেন। 'বাঘি', 'চন্দ্রমুখী' এবং 'বীর' ছবিগুলো লিখেছেন সলমন নিজেই।
প্রতিবেদন অনুসারে,
সলমন খানই একমাত্র বলিউড অভিনেতা যিনি চলচ্চিত্রে সর্বাধিক সংখ্যক
অতিথি চরিত্রে অভিনয় করেছেন। সলমন বিশ্বাস করেন যে তার পাঁচ মিনিটের ভূমিকা যদি ছবিটিকে
হিট করে, তবে তিনি তা করতে
প্রস্তুত।
একবার সোনু সুদের কাছে ক্ষমা চেয়েছিলেন
সলমন খান। আসলে, 'দাবাং' ছবির ক্লাইম্যাক্স দৃশ্যে সলমন ভুলবশত সোনু
সুদের নাকে ঘুষি মেরেছিলেন। এই ছবিতে নেগেটিভ চরিত্রে ছিলেন সোনু সুদ। এই দুর্ঘটনায় সোনুর নাক ভেঙে যায়। এই ভুলের জন্য সোনুর কাছে ক্ষমা চেয়েছেন সলমন।
jnxsHS
Aug 04, 2023 03:22 [IST]endulky
Jun 17, 2023 18:17 [IST]igniguaps
May 17, 2023 07:45 [IST]