কোভিডকালে যখন লকডাউন হয়েছিল সেই সময়
দূরদর্শনে ফিরে এসেছিল সোনালি দিন। আট ও নয় দশকের স্মৃতিকে আবার ঝালিয়ে নিয়েছিল
মানুষ এই সময়টাতেই। একসময় দূরদর্শনে হামলোগ, বুনিয়াদ, ব্যোমকেশ বক্সী, তামস, মালগুড়ি ডে’জ-এর মতো সিরিয়াল হত। আর শোনা যেৎ 'মিলে সুর মেরা তুমহারা'-র অবিস্মরনীয় সুর।
এই বিজ্ঞাপনি গানটি সমগ্র ভারতকে
ঐক্যের সুতোয় আবদ্ধ করতে কাজ করেছিল। পণ্ডিত ভীমসেন যোশীর ছেলে জয়ন্ত যোশী এক
সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, 'তৎকালীন
প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধি জাতীয় ঐক্যের উপর চিত্রিত একটি গান চেয়েছিলেন।
প্রস্তাবটি পণ্ডিত ভীমসেন যোশীর কাছে আসে। তারপরই তৈরি হয় 'মিলে সুর মেরা তুমহারা।’
যে গানের সুরে নস্টালজিয়া ফিরে ফিরে
আসে সেই গানের কম্পোজিশন নিয়ে তৈরি হয়েছিল মহা বিতর্ক। সুপরিচিত মারাঠি সুরকার অশোক পাটকি দাবি
করেছিলেন যে তিনি গানটি রচনা করেছিলেন, অন্যদিকে পণ্ডিত ভীমসেন জোশীর ছেলে জয়ন্ত যোশী দাবি করেছিলেন যে তাঁর বাবা
গানটি রচনা করেছিলেন। এই গানে খেলাধুলা, শিল্প, সাহিত্যসহ অন্যান্য ক্ষেত্রের
বিশিষ্ট ব্যক্তিরা অংশ নেন। অমিতাভ বচ্চন, জিতেন্দ্র, মিঠুন, শাবানা আজমি, শর্মিলা ঠাকুর,মল্লিকা সারাভাই, হেমা মালিনী, কমল হাসান, অমিতাভ বচ্চন, তনুজা এবং জাভেদ আখতার সহ বিভিন্ন ব্যক্তিত্ব দেশের প্রতিটি অংশের হয়ে
প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন।
মিলে সুর মেরা তুমহারা-এর শ্রোতারা
বলে যে এটি কেবল সঙ্গীতের কিছু নোট নয়। এর মাধ্যমে ভারতের বৈচিত্র্য এবং পারস্পরিক
ভালবাসা ও পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধার পরিচয় ঘটেছিল। এই গানটি দেখে একটি বড় অংশের
মানুষের মনে পড়ে শৈশবকে।