নিয়মিত শরীরচর্চা করেও যদি স্বাস্থ্যকর খাবার না খান তাহলে তা খুব একটা উপকারী নয়। বিশেষজ্ঞদের মতে,
রোগমুক্ত শরীর পেতে নিয়মিত শরীরচর্চার পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর খাবারের কোনও বিকল্প নেই।
এমন অনেক খাবার রয়েছে যা প্রায়শই খাওয়া হলেও,
অজান্তেই শরীরে নানা রোগের কারণ হয়ে ওঠে এই খাবারগুলি। চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন কোন
খাবারগুলি স্বাস্থ্যকর মনে হলেও তা মারাত্মক ক্ষতি করে শরীরের-
১) সসেজ- চটজলদি রসনা তৃপ্তির জন্য অনেকেই সসেজ খান। মাঝেমাঝে সসেজ খেলে স্বাদের
তৃপ্তি মিললেও এই উপাদান কিন্তু শরীরের
ক্ষতি। প্রক্রিয়াজাত মাংস এমনিতেই অস্বাস্থ্যকর।
তার উপর সসেজে নুনের পরিমাণও অনেক বেশি। ফলে নিয়মিত সসেজ বা যে কোনও প্রক্রিয়াজাত
মাংস খেলে অন্ত্রের ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
আরও পড়ুন: Groin Itching: ভীষণ গরমে বারবার কুঁচকি ছড়ে যাচ্ছে? কষ্ট কমাতে মেনে চলুন এই ৫ উপায়
২) নারকেল তেল- অনেকেই শুধু রূপচর্চা জন্য নয়, রান্নাতেও নারকেলের
তেল ব্যবহার করেন। রূপচর্চার জন্য এই তেল উপকারি হলেও,
এই তেলে স্যাচুরেটেড ফ্যাটের পরিমাণ অনেক বেশি। দীর্ঘ দিন ধরে
নারকেল তেল খাওয়ার ফলে হৃদযন্ত্রে ধমনীতে ফ্যাটের পরিমাণ
বাড়তে থাকে। যার জেরে হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা বৃদ্ধি
পায়।
৩) প্যাকেটজাত ফলের রস
সকালের জলখাবারে অনেকেই ফলের রস খেতে পছন্দ করেন।
সকালে ব্যস্ততার কারণে অধিকাংশ লোকেই বাজারচলতি ফলের রস খেয়ে থাকেন। তবে বাজারচলতি
ফলের রসে বাড়তি চিনি মেশানো থাকে। যা ওজন বেড়ে যাওয়া ছাড়া আরও অনেক শারীরিক সমস্যার সৃষ্টি করে। তাই এই ধরণের
বাজারচলতি ফলের রস এড়িয়ে চলুন।
৪) চিনি- যে কোনও খাবারে সামান্য চিনি দিলে তাঁর স্বাদ আরও বেড়ে যায়। অথচ
এই ছোট ছোট শুভ্র দানা হাজার রোগের জন্ম দেয়। তার মধ্যে অন্যতম সমস্যা হল ওজন বেড়ে যাওয়া। সেই সঙ্গে অতিরিক্ত চিনি খাওয়ার
অভ্যাসে টাইপ ২ ডায়াবিটিসের ঝুঁকিও বৃদ্ধি পায়। কিন্তু তা
সত্ত্বেও চিনি যদি একান্ত খেতেই হয়, তার পরিমাণ একেবারে কমিয়ে দিন।
আরও পড়ুন: Freshness of Vegetable in Summer: গরমে শাক-সব্জি দ্রুত শুকিয়ে যাচ্ছে? দীর্ঘক্ষণ সতেজ রাখতে কী করবেন জেনে নিন
৫) ফ্রায়েড চিকেন- বর্তমানে যে কোনও
অনুষ্ঠানের অন্যতম মুখরোচক খাবার হল ফ্রায়েড চিকেন। যদিও এই ধরনের খাবার নিঃসন্দেহে সুস্বাদু। কিন্তু ফ্রায়েড চিকেন
শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক। কারণ ভাজা
মাংসে স্যাচুরেটেড ফ্যাটের পরিমাণ অনেক বেশি। যা হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়িয়ে
তোলে। এছাড়াও এতে প্রচুর পরিমাণে নুন ব্যবহার করা হয়।
যার ফলে এই ধরণের খাবার খেলে হাই প্রেশার ও হৃদরোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।
