সাহস তসলিমা নাসরিনের জীবনের সবচেয়ে বড় বিষয়। সাহস অবলম্বন
করেই মৌলবাদী সমাজের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন, দেশ থেকে বিতারিত হয়েও
ভিন দেশে সগর্বে দাঁড়িয়ে রয়েছেন তিনি। সাহস না থাকলে কেউ ‘লজ্জা’র মতো বই লিখতে পারে না বোধহয়। যে কোনও বিষয় নিয়েই তসলিমা নাসরিন
স্পষ্টবক্তা। তার সোশ্যাল মিডিয়াতেও বারবার মেলে সেই আঁচ। প্রেম থেকে যৌনতা সবেতেই
তিনি লাগামছাড়া। সম্প্রতি সেকথাই স্বীকার করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: শ্যুটিং সেটেই অসুস্থ হয়ে পড়েন পরীমণি
আরও পড়ুন: সারোগেসি 'একটি স্বার্থপর আত্মরতিমূলক অহং', প্রিয়াঙ্কাকে নিশানা তাসলিমার
বহু বছর আগে দাঁড়িয়েও ছক ভাঙা প্রেমের নৌকা বাইয়েছিলেন
তসলিমা নাসরিন। শুক্রবার তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ার পাতায় সেকথাই যেন ফুটে উঠেছে।
সমাজের যাবতীয় চোখ রাঙ্গানি এড়িয়ে লেখিকা সরাসরি বলেছেন, “তিরিশ বছর আগে আমি আমার প্রেমিককে রাস্তায়, রেস্তোরাঁয়
চুমু খেয়েছিলাম বাংলাদেশের মতো দেশে। ইউরোপের দেশগুলোয় হাটে মাঠে ঘাটে ইউরোপিয়ান
প্রেমিককে তো চুমু খেয়েইছি, ঘোর পূর্ণিমা-রাতে সেক্স করেছি
নির্জন সমুদ্রপাড়ে, করেছি চাঁদের আলোয় স্নান করতে থাকা নিবিড়
অরণ্যে। সেক্স সবসময়ই খুব সুন্দর। নারী-পুরুষের, নারী-নারীর,
পুরুষ-পুরুষের, ট্রান্সজেন্ডারের, কুইয়ারের। অ্যানিমেলদের কাছে, বিশেষ করে বনোবোদের
কাছ থেকে শেখা উচিত সেক্স নিয়ে কী করে উৎসব করতে হয়। বনোবোরা সবচেয়ে শান্তিপ্রিয়
প্রাণী। কারণ তারা কলহ কোন্দল মিটিয়ে নেয় সেক্স করেই। বনোবোদের সঙ্গে মানুষের
ডিএনএ'র সবচেয়ে বেশি মিল। আমি বুঝিনা বাইরে জ্যোৎস্নায় ভেসে
যাচ্ছে পৃথিবী, আর মানুষ কিনা চারদেয়ালের ভেতর দরজায় খিল
এঁটে সঙ্গম করে। প্রকৃতির কাছ থেকে মানুষ অনেক দূরে সরে গেছে, আর কত দূরে সরবে! মানুষগুলো দিন দিন দুপেয়ে রবোট হয়ে উঠছে। আসলে
সঙ্গমগুলোও আর সঙ্গম নেই। সব যেন ধর্ষণ হয়ে উঠছে। ভালোবাসাও হয়ে উঠছে ঈর্ষা।”