বর্তমান সময়ে পরিবর্তিত জীবনযাত্রার
জন্য নানা রকমের জটিল সমস্যায় জর্জরিত সাধারণ মানুষ। এর মধ্যে অন্যতম হল ফ্যাটি
লিভার। এই রোগে প্রধানত লিভারের কার্যক্ষমতা কমে যায় এবং তার জেরেই বিভিন্ন সমস্যা
দেখা দেয়। এই রোগ সারাতে ওষুধ প্রভাবশালী হলেও তার অনেক প্বার্শ-প্রতিক্রিয়া থাকে।
তাই কোনও প্বার্শ-প্রতিক্রিয়া ছাড়াই এই রোগ সারাতে ব্যবহার করুন তেঁতুল। এই ফলে
থাকা প্রচুর কার্যকরী পুষ্টিগুন ফ্যাটি লিভার নিয়ন্ত্রনে রাখতে সক্ষম। জেনে নিন
কীভাবে-
আরও পড়ুনঃ পয়লা বৈশাখে সমর্থকদের বিরাট চমক দিতে চলেছে মোহনবাগান
আরও পড়ুনঃUEFA Champions League: দুরন্ত পারফরম্যান্স সিটিজেন'দের, কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে বায়ার্ন মিউনিখ'কে ৩ গোলে পিছিয়ে রাখল নীল ম্যানচেস্টার
প্রতি ১০০ গ্রাম তেঁতুলের ক্বাথে ৫১
গ্রাম ডায়েটারি ফাইবার রয়েছে। যা কোলনকে নানা প্রকার ক্ষতিকর টক্সিক উপাদানের হাত
থেকে রক্ষা করে। এছাড়াও তেঁতুলে থাকে ওয়াইন অ্যাসিড এবং টার্টারিক অ্যাসিডের মতো
শক্তিশালী অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট। এই ফলে কপার পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রন,
সেলেনিয়াম, জিঙ্ক, ম্যাগনেশিয়াম, ভিটামিন সি, নিয়াসিন, থিয়ামিন, ফোলিক অ্যাসিড, রাইবোফ্লাভিনও মজুত রয়েছে। এই সমস্ত ভিটামিন শরীরকে সুস্থ
রাখতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে এই উপাদানগুলি ফ্যাটি লিভারের প্রকোপ কমাতেও খুবই
কার্যকরী।
তেঁতুল খাওয়ার নিয়ম:
১) এক লিটার জলে দুই মুঠো তেঁতুল
দিয়ে মিক্সারে ক্বাথ বের করে নিন। দিনে দুই থেকে তিনবার এই তেঁতুল ক্বাথ জলে
মিশিয়ে খান । যদি এর স্বাদ ভালো না লাগে তাহলে অল্প মধু মিশিয়ে নিতে পারেন।
২) ইচ্ছা হলে ট্যামারিন্ড টি বানিয়ে
খেতে পারেন ।
৩)এছাড়াও শরবত করেও তেঁতুল খেতে
পারেন। এক্ষেত্রে বেশ খানিকটা তেঁতুল জলে ভিজিয়ে রাখুন। তেঁতুল নরম হয়ে গেলে ক্বাথ
বের করে নিন। গ্লাসে দু’চামচ তেঁতুলের
ক্বাথ,
ভাজা জিরে, বিটনুন, গোলমরিচের গুঁড়ো এবং মধু মিশিয়ে তাতে ঠান্ডা জল যোগ করে
খান।
অন্যান্য উপকারিতা:
১) হৃদরোগের আশঙ্কা কমায়।
২) কোলন ক্যানসারের মতো রোগও দূরে
থাকে।
৩) তেঁতুলে থাকা ল্যাকটিক, কোষ্ঠকাঠ্যিন্যের মতো সমস্যা দূর করে।
৪) তেঁতুলে রয়েছে
অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান, যা ত্বকে সৌন্দর্য
ধরে রাখে।
৫) শরীর থেকে ক্ষতিকর টক্সিন বের
করতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে লিভারে জমে থাকা ফ্যাট গলাতেও বিশেষ ভূমিকা নেয়
তেঁতুলের ক্বাথ।