হাতে গোনা আর কয়েকদিন, তারপরেই মহালয়া। বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের চণ্ডীপাঠ
আর তর্পণের মধ্য দিয়ে মা আসবেন মর্তে। কেন বেছে বেছে এই দিনটিতেই তর্পণ করা হয় জানেন?
এর নেপথ্যে কতগুলি কারণ রয়েছে। তর্পণ করতে গেলে কী কী উপকরণ নেওয়া আবশ্যক জানেন? আসুন
আজ তা জেনে নেওয়া যাক।
তর্পণ কথাটি এসেছে তৃপ শব্দ থেকে। যার অর্থ হল সন্তুষ্ট করা। মহালয়ার
দিনেই তর্পণ করা হয় কারণ এই বিশেষ দিনটিতেই পিতৃপক্ষের অবসান আর দেবী পক্ষের সূচনা
হয়। মহালয়ার দিনেই তর্পণ করা হয়। তর্পণ অর্থাৎ পিতৃপুরুষকে জলদান করে তাঁদের আত্মার
শান্তি কামনা করা। মহালয়ার অমাবস্যায় অনেক সময়য় তন্ত্রসাধনা করা হয়।
আরও পড়ুন: Durga Puja 2022: ব্রাত্য দেবী দুর্গা, নায়ক আজও মহিষ রাজাই
আরও পড়ুন: Durga Puja 2022: পুজোর আগে মেদ ঝরাতে গিয়ে খাদ্য তালিকা থেকে ভাতকে ভ্যানিশ করেছেন, তাহলে সেই ঘাটতি মেটাতে পাতে রাখুন এই উপাদান
তর্পণের জন্য বিশেষ কয়েকটি জিনিস লাগে। যেমন গঙ্গা জল, চন্দন, কালো তিল
এবং কুশ, তুলসীপাতা, হরিতকী, চাল, দূর্বার প্রয়োজন। কেউ কেউ পিরোহিতের সাহায্যে কেউ
বা নিজেই পিতৃ তর্পণ করে থাকেন। মহালয়ার দিন গঙ্গার ঘাটে তাই তর্পণ করার জন্য মানুষের
ভিড় দেখা যায়।
পিতৃ তর্পণ করার সময় সূর্যোদয়ের সময় পূর্বদিকে মুখ করে নাভি পর্যন্ত জলে
ডুবে দাঁড়াতে হয়। তারপর পৈতে বাম কাঁধে রেখে জল বা মাটি দিয়ে তিলক ধারন করতে হয়। তর্পণের
শুরুতে আচমন ও বিষ্ণু মন্ত্র স্মরণ করতে হবে। হাতজোর করে তিনবার বিষ্ণুকে স্মরণ করতে
হবে। তারপর নিজের নিজের বেদ অনুসারে তিনবার করে মন্ত্র পড়তে হবে এবং তিনবার জল দান
করতে হবে। পিতৃ তর্পণ করার সময় ৬টি কুশ একসঙ্গে করে ৩টি কুশ নিয়ে অনামিকাতে আংটির আকারে
ধারন করতে হবে। তারপর তর্পণ করতে হবে। তর্পণের আগের দিনে তিনপুরুষের নামে পিন্ড দান
করা হয়ে থাকে। পিতৃপুরুষকে তর্পণের সময় যেন বৃষ্টির জল তাতে না মেশে সেকথা মাথায় রাখতে
হবে।