সংকষ্টী চতুর্থী অন্যতম বিখ্যাত উৎসব। কোনও শুভ কাজ করার আগে গণেশের পূজা করা হয়। তিনি সকল দেবতার মধ্যে প্রথম পূজিত। গণপতিকে জ্ঞান, শক্তি ও বিচক্ষণতার দেবতা বলা হয়। ভগবান গণেশ তাঁর ভক্তদের সমস্ত সমস্যা ও বাধা দূর করেন, তাই তাঁকে বিঘ্নহর্তাও বলা হয়।

আরও পড়ুন: ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবারকে ১০ লক্ষ ও গুরুতর আহতদের ২ লক্ষ ক্ষতিপূরণ ঘোষণা কেন্দ্রের

হিন্দু ধর্মে দেব-দেবীকে খুশি করার জন্য অনেক উপবাসের কথা বলা হয়েছে। সংকষ্টী চতুর্থী উপবাস ভগবান গণেশকে উৎসর্গ করা হয়। সংকষ্টী চতুর্থী মানে সঙ্কটকে পরাজিত করে এমন চতুর্থী। এই দিনে পুজো করলে সকল প্রকার দুঃখ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। চতুর্থীতে গণেশের পুজো খুব ফলদায়ক। আসুন জেনে নেওয়া যাক কোন পদ্ধতিতে এই দিনে গণপতির পুজো করা উচিৎ।

আরও পড়ুন: High Heels Sideeffects: পোশাকের সঙ্গে ম‌্যাচিং করে হাই হিল জুতো পরছেন, এর ফলে কী হতে পারে জানেন

সংকষ্টী চতুর্থীর দিন উপবাস করে গণপতিকে খুশি করার চেষ্টা করা হয়। এই দিনে সূর্যোদয়ের আগে ভোরে ঘুম থেকে উঠে স্নান করে পরিষ্কার কাপড় পরিধান করুন। এই দিনে লাল রঙের পোশাক পরা খুবই শুভ। তারপর গণপতির পুজো শুরু করুন। পুজো করার সময় দিকের প্রতি বিশেষ যত্ন নিন। এই দিনে ভক্তকে তাঁর মুখ পূর্ব বা উত্তর দিকে রাখতে হবে। এবার গণপতি মূর্তিকে সুন্দর করে ফুল দিয়ে সাজান।

গণেশ পুজোয় তামার কলসে তিল, গুড়, লাড্ডু, ফুল, জল, ধূপ, চন্দন, কলা বা নারকেল রাখুন। পুজোর সময় কাছে দেবী দুর্গার মূর্তি রাখা খুবই শুভ বলে মনে করা হয়। এবার গণপতিকে সিঁদুর নিবেদন করুন এবং ফুল ও জল নিবেদন করুন। সংকষ্টীর দিন বাপ্পাকে তিলের লাড্ডু ও মোদক নিবেদন করুন। প্রদীপ জ্বালিয়ে নিচের মন্ত্রটি জপ করুন-

'গজাননং ভূত গণাদি সেবিতং,

কপিত্থ জম্বু ফল চারু ভক্ষণম্।

উমাসুতম শোক বিনাশকারকম,

নমামি বিঘ্নেশ্বর পদ পঙ্কজম।।'

সন্ধ্যায় চাঁদ ওঠার আগে গণপতির পুজো করে সংকষ্টী ব্রতকথা পাঠ করুন এবং পুজো শেষ হলে প্রসাদ বিতরণ করুন। তারপরে চন্দ্রোদয় দেখে ভাঙা হয় সংকষ্টী চতুর্থীর উপবাস।