বাড়ির বাস্তুর উপর নির্ভর করে সেই পরিবারের সদস্যদের উন্নতি অনেকক্ষেত্রে নির্ভর করে। বাস্তু মেনে যদি বাড়ির সব জিনিস নির্মাণ করা যায়, বা আসবাব রাখা যায় তবে তা সেই পরিবারের উপর সুপ্রভাব বিস্তার করে থাকে। যেমন বাড়ির ঠাকুরঘরও বাস্তু মেনে সাজানো উচিত। এতে সংসারে সুখ ও সমৃদ্ধি বৃদ্ধি ঘটে। দেখে নিন বাড়িতে ঠাকুরঘর বানানোর ক্ষেত্রে কোন কোন নিয়ম মেনে তা সাজাবেন-

মনে করা হয়, ঠাকুরঘরের প্রবেশদ্বার দিয়েই শুভশক্তি গৃহে প্রবেশ করে। তাই খেয়াল রাখতে হবে প্রবেশদ্বার দিয়ে যেন খুব ভাল ভাবে সূর্যের আলো ও বাতাস প্রবেশ করতে পারে। এ ছাড়া, ঠাকুরঘরের দরজা যেন লোহার তৈরি না হয়।

ঠাকুরঘর বাড়ির সবচেয়ে পবিত্র ও শান্ত স্থান, তাই ঠাকরঘরের রং নির্বাচন করার সময়েও বিশেষ নজর রাখতে হবে। এই ঘরের রং সব সময়ে সাদা, হালকা নীলাভ বা হালকা হলুদ হওয়া উচিত।

খেয়াল রাখতে হবে ঠাকুরঘরে কোনও মূর্তি যেন একে অপরের মুখোমুখি না থাকে। এবং একই দেবতার বিভিন্ন রূপে মূর্তিও যেন না থাকে।

আরও পড়ুন: ঋতুস্রাব হওয়ার আগে মুখে ব্রণ ছাড়া আর কী কী পরিবর্তন হতে দেখা যায় জানেন

আরও পড়ুন: Leg Pain: পায়ের পাতায় কী দীর্ঘক্ষণ ব্যাথা হয়, জানেন এর ফলে কোন রোগ শরীরে বাসা বাঁধছে

বিশেষ করে নজর রাখতে হবে, যাতে ঠাকুরের মূর্তি বা ছবি দেওয়ালে গায়ে না ঠেকে থাকে। ঠাকুরের ছবি বা মূর্তি সব সময়ে দেওয়াল থেকে একটু দূরে রাখুন।

ঠাকুরঘরে প্রদীপের মুখ সব সময়ে পূর্ব বা দক্ষিণ দিক করে রাখতে হবে। এবং খেয়াল রাখতে হবে প্রদীপ যেন কোনও মতেই মাটিতে না রাখা হয়।

আমাদের ঠাকুর ঘরে যে সকল ঠাকুরের মূর্তি বা ছবি রাখা হয়, মনে রাখতে হবে, তা যেন ২ ইঞ্চি থেকে ৯ ইঞ্ছির মধ্যে থাকে। তা না হলে বাড়িতে অশুভ শক্তির প্রভাব বৃদ্ধি পাবে। এমনকি, দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে।

নজর রাখতে হবে ঠাকুরের মূর্তি বা ছবি যেন উত্তর ও পশ্চিম দিকে না থাকে।