লকডাউনে খরচা বাঁচিয়ে নমঃ নমঃ করে বিয়েটা যখন সেরে ফেলেছেন তখন আর 'চাঁদ
দেখা'টাই বা বাকি থাকে কেন! তা এই চাঁদ দেখার মানে যে মধুচন্দ্রিমা তা নিশ্চয় বুঝতে
পারছেন। হানিমুনের কথা কিছু ভেবেছেন কি? পরিকল্পনা না থাকলে এখনই ভাবতে শুরু করুন।
ওয়ার্ক ফ্রম হোম আর নিউ নর্মাল লাইফ জারি থাকতে থাকতেই নিয়ম মেনে শীতের মধ্যেই হানিমুনটা
সেরে ফেলতে পারেন।
কনকনে ঠান্ডাকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে ছড়িয়ে দিন রোম্যান্সের উষ্ণতা।
ভাবছেন তো, একান্তে কোথায় কোথায় ঠড়াবেন সেই উষ্ণতা? কুছ পরোয়া নেহি। দেশের মধ্যে কিছু
কুল হানিমুন ডেস্টিনেশনের হদিশ দিচ্ছে টো টো কোম্পানি। কম বাজেটে দারুণ কোনও জায়গায়
হানিমুন সারতে চান? তাহলে 'দি'-'পু'-কে ছেড়ে সোজা চলে যান'দা'-তে। মানে পাহাড়ের
রানি দার্জিলিঙে। বাঙালির প্রিয় 'ঠান্ডা হওয়ার' জায়গা। দার্জিলিঙে হানিমুন করার আইডিয়াটা
বহুদিন ধরেই চলে আসছে। এক পরিবারে তো নাকি 'বংশ পরম্পরায়' দার্জিলিঙে হানিমুন করতে
যেতেন। মানে ঠাকুরদা-ঠাকুমা, জ্যাঠা-জ্যেঠিমা, বাবা-মা, কাকু-কাকিমা সবাই পাহাড় রানির
কোলের রোম্যান্সের উষ্ণতা ছড়িয়ে এসেছেন। আজকের প্রজন্মের কাছেও দার্জিলিং কিন্তু চিরযৌবনা।
একদিকে হিমালয়ের পেশিবহুল অগাধ সৌন্দর্য আর অন্যদিকে সবুজের হাতছানি মন এবং শরীরের
প্রেমকে আরও উস্কে দেবে। একটি আন্তর্জাতিক পর্যটন সংস্থার দাবি এবছর দার্জিলিঙে বিশেষ
ভিড় হয়নি। সুতরাং ফাঁকায় ফাঁকায় ঘুরে আসতে পারেন সেখান থেকে। আর রোম্যান্সের পর একটু
সময় পেলে তাকদা, টাইগারহিল, চা বাগান, চিড়িয়াখানা, জাদুঘরগুলিও একবার চোখের দেখা দেখে
নেবেন।দক্ষিণের স্বর্গবিয়ের ক্লান্তি এক লহমায় মুছে দিয়ে শরীরকে সতেজ করে তুলবে জম্মু-কাশ্মীরের
গুলমার্গ। সিমলা বা মানালির মতো ভিড় এখানে হয় না। আর শীতে এখানে বরফ পাওয়ার সম্ভাবনা
একরকম 100 শতাংশ। নিজেদের প্রেমের উষ্ণতা দিয়ে সেই বরফ গলানো যায় কিনা তা একবার চেষ্টা
করে দেখতে পারেন। আর গুলমার্গ যাওয়া মানেই কিন্তু মোটামুটি জম্মু-কাশ্মীরের ট্যুর প্ল্যানটাও
ছকে ফেলা। রোম্যান্সের চোটে সেটা মিস করবেন না যেন।সোনার কেল্লায় মধুচন্দ্রিমা
মধুচন্দ্রিমার
জন্য বেছে নিতে পারেন রাজস্থানের জয়সলমীরকে। বাঙালির চিরপরিচিত সোনার কেল্লার শহর এটি।
তবে কেল্লার রহস্য ভেদ না করে রাজকীয় স্টাইলে মধুচন্দ্রিমা যাপন করতে পারেন রাজাদের
এই শহরে। বর্তমানে হোটেলে পরিণত হওয়া রাজপরিবারের প্রাচীন হাভেলিগুলিতে থাকতে পারেন
অনায়াসে। দেখবেন প্রেমটাও আসবে রাজকীয় মেজাজে। রাজবাড়িতে থাকা, নৌকাবিহার, প্রকৃতিদর্শন,
সান্ধ্য উৎসব, লোকগীতি আর রাজস্থানী খাবারের মাঝে অন্যমাত্রা পাবে মধুচন্দ্রিমার রং।