পুরী-দার্জিলিং তো সকলেই গেছেন
পাশাপাশি সিকিমও গেছেন প্রায় সকলেই। সিকিমের সৌন্দর্য্য সকলেই উপভোগ করেছেন। তবে সিকিমে
গেলে দুটো বাবা মন্দির রয়েছে। একটি পুরোনো সিল্ক রুটে এবং অন্যটি নাথুলার কাছে। দু'জায়গাতেই বিরাজ করেন হরভজন সিংহ।
প্রথমবার সিকিম বেড়াতে গেলে
বাকেটলিস্টে থাকে নাথুলা, চাঙ্গু লেক। সেই
তালিকা থেকে বাদ যায় না বাবা মন্দিরও। সিকিমের এই রুটে বেড়াতে গেলে বাবা মন্দিরে
বারো মাস পর্যটকদের ভিড় লেগে থাকে। মন্দির ঠিকই কিন্তু সেখানে কোনও ঈশ্বরের বাস
নেই। তিনি না থেকেও রয়েছেন। ভারতীয় সেনাদের কাছে এর আলাদা গুরুত্ব রয়েছে।
আরও পড়ুন: স্ত্রীকে পিঠে নিয়ে দৌড় শুধু সিনেমাতেই নয়, বাস্তবেও হয় এই দেশে
আরও পড়ুন: নাথুলা যেতে আর কঠিন রাস্তা নয়, দ্রুতই আসছে রেল পথ, জানুন বিস্তারিত
এর পিছনেও রয়েছে এক রহস্য। কারণ
হরভজন সিংহের জন্ম ১৯৪৬ সালের ৩০ অগস্ট। ১৯৬৫ সালে মাত্র ১৯ বছর বয়সে ভারতীয়
সেনাবাহিনীর পঞ্জাব রেজিমেন্টে যোগ দেন তিনি। ১৯৬৮ সালে ২২ বছর বয়সি হরভজন কর্মরত
ছিলেন নাথুলায়।
১৯৬৮ সালের অক্টোবর প্রাকৃতিক
দুর্যোগের মধ্যে হরভজন সিংহ রওনা দিয়েছিলেন আউটপোস্টের পথে। কিন্তু শেষ অবধি তিনি
তাঁর গন্তব্যে পৌঁছাননি। টানা তিন-চার দিন ধরে খোঁজ চালানোর পরও হরভজনের কোনও
সন্ধান পাওয়া যায়নি। তারপর শোনা যায়, তিনি এক সেনা জওয়ান প্রীতম সিংহের স্বপ্নে দেখা দিয়েছিলেন এবং বলে দিয়েছিলেন
তাঁর দেহ কোথায় পাওয়া যাবে। শোনা যায়, হরভজনের বলে দেওয়া জায়গাতেই তাঁর নিথর দেহ পাওয়া যায়। তারপর পূর্ণ সামরিক
মর্যাদায় তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়।