দুই জায়ান্ট ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ এবং বার্সেলোনার থেকে
অনেকটাই এগিয়ে ছিল তারা। কিন্তু শেষ দুই ম্যাচে ছন্দপতন চাপে ফেলে দিল দিয়াগো
সিমিওনেকে। শীর্ষস্থান অক্ষত রাখলেও, রিয়াল-বার্সার
চ্যাম্পিয়নশিপের দৌড়ে টিকে থাকার পথটা সুগম করে দিল অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ।
শনিবার ঘরের মাঠ ওয়ান্ডা মেট্রোপলিতানোতে লেভান্তের কাছে
২-০ গোলে হারল অ্যাটলেটিকো। গত ম্যাচেই লেভান্তের মাঠে আতিথ্য নিয়ে ১-১ গোলে ড্রতে
সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল ওবলাকদের। এবার হার। এই নিয়ে চলতি মরশুমে লা লিগায় ২৩তম
ম্যাচে এসে দ্বিতীয় পরাজয়ের মুখ দেখলেন সুয়ারেজরা। এদিন ম্যাচের ৩০ মিনিটে
হারমোসোর আত্মঘাতী গোলে লিড নেয় লেভান্তে। ম্যাচের একেবারে অন্তিম মুহূর্তে
দ্বিতীয় গোলটি আসে জর্জ ডি ফ্রুতোসের পা থেকে।
টানা দুই ম্যাচে পয়েন্ট খুইয়ে কপালে চিন্তার ভাঁজ চওড়া হল
অ্যাটলেটিকো বসের। ২৩ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ৫৫। এক ম্যাচ বেশি খেলে ৫২ পয়েন্ট নিয়ে
দ্বিতীয় স্থানে রিয়াল। ২২ ম্যাচে ৪৬ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে রয়েছেন মেসিরা। সমান
ম্যাচে ৪৫ পয়েন্ট নিয়ে চারে সেভিয়া। অ্যাটলেটিকোর হারে রিয়াল বার্সার পাশাপাশি
সেভিয়াও প্রবল ভাবে স্প্যানিশ লিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার দৌড়ে ফিরে এল। শেষ পাঁচ ম্যাচ
জিতে স্পেনের তিন প্রধানকে কিন্তু কড়া চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে সেভিয়া।
অন্যদিকে, মিনি হাসপাতালে পরিণত হওয়া রিয়াল
টানা চার ম্যাচে জয়ের মুখ দেখল। চোট-আঘাতে জর্জরিত রিয়ালের প্রথম একাদশ মাঠে
নামাতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে জিনেদিন জিদানকে। রবিবার রাতে রিয়াল ভায়োদোলিদের বিরুদ্ধে
অ্যাওয়ে ম্যাচে দল নামাতে অ্যাকাডেমি থেকে পাঁচ ফুটবলারকে ডাকতে হয়েছে লস
ব্ল্যাঙ্কোসকে।
সার্জিও র্যামোস, দানি কারভাহাল, মার্সেলো, এডার মিলিতাও, ফেদে
ভালভার্দে, রদ্রিগো এবং এডেন হ্যাজার্ডরা ছিটকে গিয়েছিলেন
আগেই। চোটের তালিকায় নবতম সংযোজন ফর্মে থাকা ফরাসি স্ট্রাইকার করিম বেনজিমা। ফলে
কার্যত দ্বিতীয় সারির দল নিয়ে লা লিগায় লড়াই চালাচ্ছেন জিজু।
এদিন ভায়োদোলিদকে ১-০ গোলে হারাল রিয়াল। ৬৫ মিনিটের মাথায়
ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেন কাসেমিরো। টনি ক্রসের সেটপিসে মাথা ছুঁইয়ে বল জালে
জড়িয়ে দেন ব্রাজিলিয়ান মিডিও। তবে ম্যাচের নায়ক রিয়াল গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়া।
একের পর এক দুরন্ত সেভ করে দলকে তিন পয়েন্ট এনে দিয়েছেন বেলজিয়ান গোলরক্ষক।
একই দিনে অ্যাটলেটিকোর হার এবং রিয়ালের জয় যে লা লিগাতে
উত্তেজনার পারদ এক ধাক্কায় অনেকটাই বাড়িয়ে দিল, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে
না।