অবিশ্বাস্যঅবিশ্বাস্য ব্যাটিং করলেন হেনরিখ ক্লাসেন। ঘরের মাঠে চেনা পিচে ব্যাট হাতে চার-ছক্কার ফুলঝুরি ফোটালেন প্রোটিয়া ব্যাটার। তবে শুধু তিনি একাই নন, বুধবার মুম্বই ইন্ডিয়ান্স-এর বিপক্ষে বিধ্বংসী মেজাজে দেখা গিয়েছে অভিষেক শর্মা, ট্র্যাভিস হেড এবং এইডেন মার্করাম'কে। তাদের সৌজন্যেই আইপিএল ইতিহাসের সমস্ত রেকর্ডকে চূর্ণ করে রোহিত শর্মা'দের ২৭৮ রানের টার্গেট দেয় প্যাট কামিন্সের দল। যা চেজ করতে গিয়ে লড়াই চালালেও শেষ পর্যন্ত সফল হয়নি মুম্বই। ২৪৬ রানে শেষ হয় মুম্বইয়ের ইনিংস। এই সুবাদে ৩১ রানে ম্যাচটি জিতে নেয় সানরাইজার্স হায়দরাবাদ।
বুধবার হায়দরাবাদে শুরু থেকেই ঝড় তোলেন ট্র্যাভিস হেড। মায়াঙ্ক আগরওয়াল(১১) দ্রুত উইকেট হারালেও তাঁর আত্মবিশ্বাস বিন্দুমাত্র কমেনি। ভয়-ডর না করে একের পর এক বাউন্ডারি মারতে থাকেন হেড। এ দিন ২৪ বলে ৬২ রান করে ফেরেন তিনি। ঝোড়ো ইনিংস খেলেন অভিষেক শর্মা'ও হেডের থেকে এক বল কম খেলে ৬৩ রান সংগ্রহ করেন তরুণ ভারতীয় ব্যাটার। তবে এই দিন যেন মহাজাগতিক শক্তি পেয়ে গিয়েছিলেন ক্লাসেন। জশপ্রীত বুমরাহ, হার্দিক পান্ডিয়া থেকে শুরু করে কাউকেই চার-ছক্কা মারতে গিয়ে দ্বিধা করেননি তিনি। মাত্র ৩৪ বলের ইনিংসে ৭টি ছক্কা এবং ৪টি চার মেরে ৮০* রান করেছেন ক্লাসেন। যা সত্যিই প্রশংসনীয়। এছাড়াও মারকাটারি ব্যাটিং করেছেন মার্করাম। ক্লাসেনের পাশাপাশি ২৮ বলে ৪২ রান করে অপরাজিত থেকেছেন তিনি। এই সুবাদে ২০ ওভার শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে ২৭৭ রান করে হায়দরাবাদ। যা এখনও পর্যন্ত আইপিএল-এর ইতিহাসে সর্বাধিক রান।
পাহাড় প্রমাণ বললে হয়তো ভুল হবে, হিমালয় প্রমাণ এই রান চেজ করতে নামা মুম্বই'কে দেখে মনে হয়েছিল তারা খুব বেশি ২০০ করবে। কিন্তু সেই ধারণা ভেঙে দিয়েছেন তিলক বর্মা। রোহিত(২৬), ঈশান কিষন(৩৪) নমন ধীর(৩০)'রা প্রত্যেকে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করলেও মুম্বইয়ের ইনিংসে সমর্থকদের নজর কেড়েছেন তিলক। তিনি মাত্র ৩৪ বলের ইনিংসে ৬টি ছক্কা ও ২ টি চার মেরে ৬৪ রান করেছেন। অন্যদিকে ২২ বলে ৪২* করেছেন টিম ডেভিড। তাঁর সঙ্গে তিলক থাকলে হয়তো ইতিহাস গড়তে পারত মুম্বই। কিন্তু বিপক্ষ অধিনায়ক কামিন্স তা হতে দেননি। ইতিহাস রচনা হওয়ার আগেই সেই 'পেন' ভেঙে দিয়েছেন তিনি। শেষ পর্যন্ত আর বড় রান চেজ করতে পারেনি মুম্বই। ২৪৬এ শেষ করেছে তারা। ৩১ রানে ম্যাচটি জিতেছে হায়দরাবাদ।