ভারত বনাম আফগানিস্তানের মধ্যে একটি হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচের সাক্ষী থাকলেন অসংখ্য ক্রিকেটপ্রেমীরা। বুধবার দুই বার ম্যাচ ড্র হয় এবং দ্বিতীয় সুপার ওভারে চমক দেখান রবি বিশ্নোই। তাঁর দুরন্ত বোলিংয়ের সামনে আফগানরা ১২ রান চেজ করতে নেমে ১ রানেই গুটিয়ে যায়। এই সুবাদে ১০ রানে ম্যাচটি জিতে আফগান বাহিনীকে হোয়াইটওয়াশ করে দেয় রোহিত শর্মার দল।
চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে চলতি সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে এই দিন টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা। ব্যাট হাতে ভারতীয় দলকে টানলেন রোহিত এবং রিঙ্কু সিং। গত দুই ম্যাচে শূন্য রানে আউট হওয়ায় তাঁকে নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছিল। আজ, বুধবার সে সবের যেন জবাব দিলেন ভারত অধিনায়ক। ব্যাট হাতে পিচে আগুন ধরালেন তিনি। মাত্র ৬৯ বলে ১২১ রান করেন রোহিত। তাঁর এই শতাধিক রানের ইনিংসে ছিল ৮টি ছয় এবং ১১টি চার। অন্যদিকে, রিঙ্কু সিং'ও আফগান বোলারদের কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেন। ৩৯ বলে ৬টি ছক্কা এবং ২টি বাউন্ডারি মেরে ৬৯ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। এই সুবাদে ২০ ওভার শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে ২১২ রান সংগ্ৰহ করে ভারত। এই দিন গোল্ডেন ডাক হন বিরাট এবং সঞ্জু। যশ্বসী এবং শিবম দুবে সংগ্ৰহ যথাক্রমে ৪ এবং ১।
২১৩ রানের পুঁজিতে বোলিং করতে নেমে ঝড়ের গতিতে রান খরচ করেছেন আবেশ খান। ৪ ওভারে ৫৫ রান দিয়েছেন তিনি। ভাল বোলিং করেছেন ওয়াশিংটন সুন্দর। একাই তিন উইকেট নিয়েছেন এই তরুণ অলরাউন্ডার। ভারতের বোলারদের বিরুদ্ধে ঝোড়ো ইনিংস খেলেছেন আফগানিস্তানের তিন ব্যাটার যাঁদের মধ্যে রয়েছেন রহমানুল্লা গুরবাজ(৫০), ইব্রাহিম জাদরান(৫০) এবং গুলবাদিন নাইব(৫৫*)। উপরের দিকে তিন ব্যাটার সহ মিডল অর্ডারে মহম্মদ নবী ৩৪ রানের ইনিংস ম্যাচ ড্র করতে সাহায্য করে আফগানিস্তান'কে।
প্রথম সুপার ওভারে মুকেশ কুমার বোলিং করতে এসে প্রথম বলে উইকেট নিলেও শেষ পর্যন্ত রান চেপে দিতে পারেননি বাংলার বোলার। ১৬ রান দেন তিনি। ১৭ রানের টার্গেট চেজ করতে নেমে রোহিত শর্মা দুরন্ত ব্যাটিং করেন। আজমাতুল্লা ওমরজাই'কে তাঁর ওভারের তৃতীয় ও চতুর্থ বলে পরপর দুটি ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচটি জেতার সুযোগ করে দেন রোহিত। কিন্তু শেষ বলে দুই রান করতে পারেননি যশস্বী জয়সওয়াল। কোনও রকমে এক রান নিয়ে ম্যাচটি ড্র করেন। এরপর দ্বিতীয় সুপার ওভারে রোহিত শুরুতেই একটি ছক্কা এবং একটি চার মেরে দেন কিন্তু দুটি উইকেট পড়ে যাওয়ার কারণে টার্গেট দাঁড়ায় ১২ রান। মুকেশ প্রথমবার রান দিয়ে ফেলেছিলেন তাই দ্বিতীয়বার তাঁকে বল করতে পাঠিয়ে ঝুঁকি নেননি রোহিত। কঠিন পরিস্থিতিতে বলটি তুলে দেন রবির হাতে। তাঁর ওভারের তৃতীয় বলেই খেলা শেষ হয়ে যায়। গুরবাজ এবং মহম্মদ নবী'কে আউট করার পাশাপাশি আফগানিস্তান'কে হোয়াইটওয়াশ করতে মুখ্য ভূমিকা পালন করেন তিনি।