আগামী শনিবার ঘরের মাঠে খেলবে এটিকে
মোহনবাগান। এই দিন তাদের প্রতিপক্ষ ওড়িশা এফসি। আসন্ন ম্যাচে জিততে পারলে আইএসএল
লিগ টেবলের উপরের দিকে উঠে যাবে সবুজ মেরুন ব্রিগেড। তাই ওড়িশার মুখোমুখি হওয়ার
আত্মবিশ্বাসী মোহনবাগান ফুটবলাররা।
ওড়িশার মুখোমুখি হওয়ার আগে হুগো
বুমোস এটিকেএমবি'র মিডিয়া টিমকে বললেন,
“ওড়িশা কেন, যে কোনও দলকে হারানোর শক্তি আছে
আমাদের দলের। তা সত্ত্বেও কিছু ম্যাচে দলের ফল খারাপ হওয়ার কারণ, মরসুমের শুরু থেকেই অসংখ্য গোলের সুযোগ নষ্ট করছি আমরা। অন্য কেউ নন,
সেই ব্যর্থতা কাটিয়ে ওঠার জন্য আমাদের রাস্তা আমাদেরই বের করতে
হবে। গোলের মুখ খোলার জন্য আমাদের আরও দায়বদ্ধ এবং একতাবদ্ধ হতে হবে। নিজেদের
লক্ষ্যে স্থির থাকতে হবে। আমি নিশ্চিত শনিবারও আমরা প্রতিপক্ষের চেয়ে বেশি গোলের
সুযোগ পাব। সেটা কার্যকরী করাই আমাদের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। এই ম্যাচটা শুধু নয়
বাকি সবকটি ম্যাচই আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। গোলের সুযোগগুলো কার্যকর হলে আমরা
দুই বা তিনে থেকেই লিগ শেষ করতে পারব বলেই আমার বিশ্বাস। কারণ মুম্বই ধরাছোঁয়ার
বাইরে চলে গেলেও দ্বিতীয় স্থানে থাকা হায়দরাবাদকে আমরা পিছনে ফেলতেই পারি।” বুমোস আরও বলেন, “ওড়িশা খুব ব্যালান্সড এবং
শক্তিশালী দল। প্রথম পর্বে আমরা জিততে পারিনি। অনেক গোলের সুযোগ নষ্ট করে এক
পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছেড়েছিলাম। ওদের স্ট্রাইকার দিয়েগো মোরিসিও গোলের মধ্যে আছে,
আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। শেষ ম্যাচে আমরা জিততে পারিনি। ম্যাচ ড্র
হয়েছে। আমি অন্তত নিজের সেরা খেলাটা সেদিন খেলতে পারিনি বলে স্বীকার করছি। ওড়িশা
ম্যাচে সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করব। কারণ আমাদের জয়ে ফিরতেই হবে।”
আরও পড়ুন: ATK Mohun Bagan: কবে উঠবে এটিকে কেউ জানেন না, অন্য ইস্যুতে সঞ্জীব গোয়েঙ্কার এটিকে-র কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিতে চলেছে মোহনবাগান
আরও পড়ুন: ISL 2022-23: শান্ত ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান, ট্রান্সফার মার্কেটে ঝড় তুলছে আইএসএল-এর অন্য দলগুলি
শুভাশীষ বসু ওড়িশা বিরুদ্ধে নামার
আগে বললেন, “শুধু ওড়িশা ম্যাচ নয়, আমার কাছে এর পরের বেঙ্গালুরু ম্যাচও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ দুটি
ম্যাচই ঘরের মাঠে। প্লে অফ নিশ্চিত করতে গেলে দুটি ম্যাচই আমাদের জিততে হবে। কারণ
লিগের শেষ পর্বে আমাদের সঙ্গে খেলা বাকি থাকবে হায়দরাবাদ ও ইস্টবেঙ্গলের মতো
দলের। ঘরের মাঠে আমরা বেশি জয় পেয়েছি। সমর্থকরা মাঠে এসে দলকে উজ্জিবীত করছেন।
সেই সুযোগটা কাজে লাগাতে হবে। ফুটবলে সবই সম্ভব। তবে লিগ টেবলের যা অঙ্ক তাতে
প্রথম দুটো দলের চেয়ে আমাদের পয়েন্টের ফারাক অনেকটাই। ছোঁয়া কঠিন। সেক্ষেত্রে
তিন নম্বর জায়গাটা আমাদের লক্ষ্য রেখে এগোতে হবে।” তিনি আরও
যোগ করেন, “শেষ ম্যাচে চেন্নাইয়িনের সঙ্গে আমরা জিততে না
পারলেও কোনও গোল খাইনি। আমাদের সবথেকে বড় সমস্যা গোলের সুযোগ তৈরি হলেও গোল করতে
পারছি না। রক্ষণের ফুটবলার হিসাবে আমার অন্তত মাঠে নামার আগে সবসময় লক্ষ্য থাকে
গোল অক্ষত রেখে ফিরব। কিন্তু জিততে গেলে তো গোল করতে হবে। এত অনুশীলনের পরও সেই
রাস্তাটা আমরা কিছুতেই খুঁজে পাচ্ছি না। যে দুটো দল শীর্ষে আছে তাদের পরিসংখ্যান
দেখুন, গোল খাচ্ছে আবার পাল্টা ওদের স্ট্রাইকাররা প্রচুর
গোলও করছে। আমরা সেটা পারছি না। ওড়িশার সামনেও প্লে অফে থাকার সুযোগ আছে। ওরা
কিন্তু দারুণ উদ্যমে ঝাঁপাবে। পয়েন্ট পাওয়ার জন্য সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করবে।
ফলে ম্যাচটা জিততে হলে সেরাটা দিতে হবে আমাদের।”