প্রায় ৪ বছর পর কলকাতা ডার্বিতে হার হজম করল সবুজ-মেরুন বাহিনী। ডুরান্ড কাপে ইস্ট-মোহন ম্যাচকে কেন্দ্র করে চরম উন্মাদনা লক্ষ্য করা গিয়েছিল মেরিনার্সদের। কিন্তু শনিবার ‘পাসা’ উল্টে গেল জুয়ান ফেরান্দোর। বড় ম্যাচে ট্রিপল হ্যাটট্রিক করতে ব্যর্থ হল মোহনবাগান। তবে এই নিয়ে বিশেষ চিন্তিত নন কোচ জুয়ান। ম্যাচ শেষ সমর্থকদের অন্য ‘সুর’ শোনালেন বাগানের স্প্যানিশ কোচ।
যুবভারতীতে এই দিন ১-০ গোলে হারের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জুয়ান বললেন, “সমর্থকদের এই ফলাফল দেখে খারাপ লাগছে। কিন্তু আমার কাছে এটা খুব একটা হতাশার নয়। কাল থেকে এএফসি কাপের প্রস্তুতি শুরু করতে হবে। প্রতি দিন নিজেদের উন্নতির জন্য কাজ করতে হবে। আমি একেবারেই ভেঙে পড়ছি না। এএফসি কাপে ভাল খেলাই আমাদের লক্ষ্য। আগামী বুধবার সেই লক্ষ্যে নামতে হবে আমাদের।” কলকাতা লিগ, ডুরান্ড কাপের মাঝে এএফসি কাপ খেলতে হচ্ছে মোহনবাগানকে। যা কিছুটা হলেও অস্বস্তিকর পরিবেশ তৈরি করছে সবুজ-মেরুন শিবিরে। এই প্রসঙ্গে জুয়ান বললেন, “ভেবে দেখুন, দু’দিন পরেই আমাদের কলকাতা লিগে ম্যাচ। তার দু’দিন পরে এএফসি কাপ। তার পরেই আবার ডুরান্ড কাপের কোয়ার্টার ফাইনাল। এতগুলি ম্যাচে খেলানোর জন্য ফুটবলার খুঁজে পাওয়াও মুশকিল। সবাইকে সব ম্যাচে খেলানো যাবে না। তাই ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে সবাইকে খেলাতে হবে। এত কিছুর পরেও বলছি, আমাদের আসল লক্ষ্য এএফসি কাপ।”
Kolkata Derby: মশালের আলোকে উজ্জ্বল বৃষ্টিস্নাত যুবভারতী
ডার্বির ৬০ মিনিটের মাথায় ডান দিক থেকে ইস্টবেঙ্গলের একটি আক্রমণেই মোহনবাগানের রক্ষণ দুর্গে চিড় ধরে যায়। সাউল ক্রেসপো’র বাড়ানো বলটি ধরে বাঁ পায়ের ইনসুইং করিয়ে গোলে প্রবেশ করান ওড়িশা এফসি থেকে খেলতে আসা নন্দ কুমার। অর্থাৎ তারকাখচিত ফুটবলারদের নিয়ে ডিফেন্স তৈরি করেও বিশেষ লাভ হল না মেরিনার্সদের! এই প্রসঙ্গে জুয়ানের মত, “রক্ষণের সামান্য ভুলে গোল খেয়েছি। তবে এটা বার বার বলছি, এটা প্রাক মরসুম প্রস্তুতির সময়। খেয়াল করলে দেখবেন, ম্যাচের অনেকটা সময় আমরা শাসন করেছি। বিপক্ষকে নিয়ন্ত্রণ করেছি। দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য ভাল খেলতে পারিনি।”