কুয়েশা ঘেরা, শিশির ভেজা শহরের রাজপথ জাঁকিয়ে পরা ডিসেম্বরের শীতকে উপেক্ষা করে ম্যারাথনের উত্তাপে গা সেঁকলেন প্রায় কুড়ি হাজার মানুষ। কলকাতা ২৫কে ঘিরে শুধু দেশ-বিদেশ থেকে আসা এলিট অ্যাথটিলদের মধ্যেই নয়, উত্তেজনা এবং প্রাণবন্ত দীপ্তি দেখা গেল সাধারণ দৌড়বীদদের মধ্যেও।
ম্যারাথনের ফ্ল্যাগ অফ করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস, তাঁর সঙ্গে ছিলেন রাজ্য সরকারের দমকল বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী সুজিত বসু। দৌড়বীদদের যাতে কোনও প্রকার সমস্যা না হয় সেই কারণে রাজ্যপাল গাড়ির পরিবর্তে পায়ে হেঁটে ফেরেন রাজভবনে। উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্বের মধ্যে ম্যারাথনে উজ্জ্বল উপস্থিতি ছিল দেবাশীষ কুমার, ঝুলন গোস্বামী, কৌশানী মুখোপাধ্যায়ের। যেই রুট ধরে এই ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয় সেই রুটের ধারে ধারে মেগা ইভেন্টের উষ্ণতা নিতে দাঁড়িয়ে ছিলেন বহু সংখ্যক মানুষ।
এ বারের ম্যারাথনে বিদেশিদের মধ্যে শীর্ষ স্থান অর্জন করেন ড্যানিয়েল সিমু ইবেনিয়ো (০১:১১:১৩)। শীর্ষ স্থানে শেষ করে কেনিয়ার এই প্রতিযোগি এতটাই আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন যে কান্নাই থামাতে পারছিলেন না। এই সাফল্য অর্জনের জন্য কতটা কঠিন পরিশ্রম তাঁকে করতে হয়েছে তা তাঁর আবেগের বহিঃপ্রাকাশ থেকেই স্পষ্ট। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “পরিশ্রম ছাড়া সাফল্যের কোনও বিকল্প হয় না। আমি ঈশ্বরের উপর ভরসা রেখে নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছি।” কলকাতার মানুষের উন্মাদনা দেখে বিস্মিত ড্যানিয়েলের আরও সংযোজন, “অসাধারণ শহর কলকাতা।আমি ভালবেসে ফেলেছি এই শহরকে। আশা করি পরের বছর আবার দেখা হবে।” পুরুষদের বিভাগে দ্বিকীয় হয়েছেন কেনিয়ারই ভিক্টর কিপ্রুটো টোগোম (০১:১২:২৬)। তৃতীয় স্থানে শেষ করেছেন ইথিযোপিয়ার তেসফায়া ডিমিকি (০১.১৩.৩৬)।
ভারতীয়দের মধ্যে ১:১৭:৪৯-এ দৌড় শেষ করে প্রথম হয়েছেন সাওয়ান বারওয়াল। দ্বিতীয় হয়েছেন গৌরব মাথুর (০১:২০:৩৩)। তৃতীয় স্থানে শেষ করেছেন মহম্মদ আসিম(০১:৪২:০৮)।
আন্তর্জাতিক মহিলা প্রতিযোগিদের মধ্যে শীর্ষ স্থানে শেষ করেছেন ইথিয়োপিয়ার সুতুমে আসিফা কেবেডে (০১:১৮:৪৭)। ইথিয়োপিয়ার অপর প্রতিযোগি ইলেমজের্ফ ইহুয়ালো (০১:১৯:২৬) শেষ করেছেন দ্বিতীয় স্থানে। কেনিয়ার বেটি চিপকেমোই কিবেট (০১:২১:৪৩) শেষ করেন তৃতীয় স্থানে।
ভারতীয় মহিলাদের মধ্যে রেশমা কিভাতে (০১:৩০:৩৮) প্রথম স্থানে শেষ করেন। দ্বিতীয় স্থান অর্জান করেন সীমা (০১:৩২:০৭)। তৃতীয় স্থানে শেষ করেন নীরাবেন ঠাকর ভারতজী (০১:৩২:৪০)।