হ্যাংজাইটি অর্থ উদ্বেগ। উদ্বেগ যে কোনও সময় ঘটতে পারে, তবে অ্যালকোহল পান করার পরে সাধারণত হ্যাংওভার অনুভব করা
যায়। কিন্তু কারও কারও ক্ষেত্রে মদ্যপানের পর লজ্জা, অপরাধবোধ বা উদ্বেগের অনুভূতি হতে পারে। হ্যাংজাইটি বা
উদ্বেগ কোনও নির্দিষ্ট মেডিক্যাল অবস্থা নয়।
ইংল্যান্ডের ব্রিস্টল
বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অফ সাইকোলজিক্যাল সায়েন্সের লেকচারার এবং গবেষক ক্রেইগ
গান বলেছেন যে অতিরিক্ত পরিমাণে অ্যালকোহল শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং স্ট্রেস
প্রতিক্রিয়া সিস্টেমকে প্রভাবিত করে। তিনি বলেন যে এটি প্রোইনফ্ল্যামেটরি
সাইটোকাইন এবং কর্টিসালের মাত্রা বাড়ায়। ক্রেগ গান বলেছেন যে হ্যাংওভার প্রায়
১২% মদ্যপানকারীদের প্রভাবিত করে। কিছু মানুষের কেন কিছু আলাদা লক্ষণ থাকে তা এখনও
পরিষ্কার নয়।
২০১৯ সালে জার্নাল অফ অ্যালকোহল
অ্যান্ড অ্যালকোহলিজম-এ প্রকাশিত একটি নিবন্ধ অনুসারে, অ্যালকোহল পান করার পরে আমরা যে হালকা উচ্ছ্বাস অনুভব করি
তা মস্তিষ্কে আমাদের রাসায়নিক বার্তাবাহক অর্থাৎ নিউরোট্রান্সমিটারের অস্থায়ী
পরিবর্তনের কারণে হয়। এই নিউরোট্রান্সমিটারগুলি আমাদের মেজাজকে প্রভাবিত করে।
প্রথমে তারা উচ্ছ্বাস তৈরি করে, তবে মাত্রায়
সামান্য পরিবর্তন হলে তারা হঠাৎ হ্যাংওভারের লক্ষণগুলিকে বদলে দিতে পারে।
আরও পড়ুন: Republic Day 2023: প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে বোট্যানিকাল গার্ডেনে আয়োজিত হতে চলেছে বার্ষিক ফুলের মেলা
আরও পড়ুন: BharOS: অ্যান্ড্রয়ডের যুগ শেষ, এবার এই দেশীয় প্রযুক্তির মাধ্যমেই ভরসা করতে চলেছে কেন্দ্র
ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের মতে, অত্যধিক তৃষ্ণা হ্যাংওভারের একটি সাধারণ লক্ষণ। অ্যালকোহল
হল মূত্রবর্ধক। রাতে মদ্যপানের পর, সকালে ঘুম থেকে উঠলে শরীরে তরল না থাকার কারণে আরও ক্লান্তিবোধ হতে পারে।
ডিহাইড্রেশন হ্যাংওভারের অনুভূতি বাড়াতে পারে।
২০১৫ সালে অ্যালকোহল জার্নালে
প্রকাশিত একটি পর্যালোচনা অনুসারে, অ্যালকোহল পান করা একজন ব্যক্তির ঘুমের চক্রকে ব্যাহত করতে পারে। ভাল মানসিক
স্বাস্থ্যের জন্য শান্তিপূর্ণ ঘুম জরুরি। ২০১৬ সালে, স্লিপ মেডিসিন জার্নালে বলা হয়েছে যে ঘুমের অভাব মানুষের উদ্বেগের মাত্রা
বাড়িয়ে দিতে পারে। তবে, ক্রেগ গান বলেছেন
যে ঘুমের গুণমান এবং হ্যাংওভার উদ্বেগের মধ্যে সম্পর্ক এখনও জানা যায়নি।
হ্যাংওভার পেট খারাপের সাথেও যুক্ত হতে পারে। ২০২১ সালে নিউট্রিয়েন্টস জার্নালে
প্রকাশিত একটি পর্যালোচনা অনুসারে, অতিরিক্ত অ্যালকোহল সেবন অন্ত্রের মাইক্রোবায়োমের গঠনকে পরিবর্তন করে।
