ইউপিএসসিকে দেশের সবচেয়ে কঠিন
পরীক্ষা বলে মনে করা হয়। প্রতি বছর দেশের লক্ষ লক্ষ যুবক আইএএস এবং আইপিএস অফিসার
হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে ইউপিএসসি পরীক্ষা দেয়। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ সাফল্য পান।
কিন্তু আজ আমরা আপনাদের ভারতের একটি গ্রামের গল্প বলতে যাচ্ছি, যেটিকে আইএএস এবং আইপিএস অফিসারদের ঘাঁটি বলে মনে করা হয়।
Vastu Tips: ভুলেও বাড়িতে রাখবেন না এই সমস্ত জিনিস, তাহলে সুখের থেকে বিপদ আসবে বেশি
আমরা জৌনপুর জেলার মাধোপট্টি গ্রামের
কথা বলছি। ইউপির এই ছোট্ট গ্রামটি দেশকে অনেক বড় অফিসার দিয়েছে। আজ সারা বিশ্বে
এই গ্রামের গল্প শোনা যায়। জৌনপুর জেলার মাধোপট্টি গ্রাম আগে একটি গ্রাম
পঞ্চায়েত ছিল, কিন্তু এখন এটি একটি নগর পঞ্চায়েতে
পরিণত হয়েছে। আজ মাধোপট্টির কথা জেনে মানুষ অবাক। তবে এই গ্রামের সাফল্যের গল্প
১০০% সত্য। এই গ্রাম থেকে বেরিয়ে আসা যুবকরা আজ সারা দেশে বড় বড় পদে রয়েছেন।
একটি সর্বভারতীয় সঙ্গবাদ মাধ্যম
সূত্রে বলা হয়েছে জৌনপুরের মাধোপট্টি গ্রামে প্রায় ৭৫টি বাড়ি রয়েছে। দেশের বড়
বড় পদে গ্রামের ৫১ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এই ৪৭ জনের মধ্যে আইএএস, আইপিএস এবং পিবিএস অফিসার। এছাড়াও গ্রামের বহু মানুষ ইসরো
এবং ভাবায় বিজ্ঞানী। কেউ কেউ আবার বিশ্বব্যাংকেও চাকরি করছেন।
PM Kisan new rules: নিয়মে আসতে চলেছে বড় বদল, প্রধানমন্ত্রী কিষাণের টাকা পেতে করুন এই দুই কাজ
মাধোপট্টি গ্রামের প্রথম সরকারি
কর্মচারী ছিলেন বিখ্যাত কবি ভামিক জৌনপুরীর পিতা মোস্তফা হোসেন। মুস্তফা হোসেন
১৯১৪ সালে সিভিল সার্ভিসে যোগ দেন। ডাঃ ইন্দুপ্রকাশ ছিলেন দ্বিতীয় ব্যক্তি যিনি
১৯৫২ সালে মাধোপট্টি গ্রামের একজন আইএএস অফিসার হয়েছিলেন। তিনি ইউপিএসসিতে
দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছিলেন। ডাঃ ইন্দুপ্রকাশ অনেক দেশের রাষ্ট্রদূত ছিলেন।
এরপর তার ৪ ভাইও আইএএস অফিসার হন। ১৯৫৫ সালে বিনয় কুমার সিং ইউপিএসসি পরীক্ষায়
ত্রয়োদশ স্থান অর্জন করেছিলেন। তিনি বিহারের মুখ্য সচিব ছিলেন। এরপরে ছত্রশাল সিং
১৯৬৪ সালে একজন আইএএস অফিসার হন, তিনি তামিলনাড়ুর
মুখ্য সচিব ছিলেন। ১৯৬৪ সালে অজয় সিংও আইএএস অফিসার হয়েছিলেন।