বিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয় দশক ছিল দেশে অসাধারণ রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সময়। জাতীয়তাবাদী সংগ্রামের গান্ধীবাদী পন্থা মুছে গিয়েছিল, কমিউনিস্ট আন্দোলনও দেশে তার প্রাথমিক উপস্থিতি অনুভব করছিল। এই সময়ে ১৯২৩ সালের ১ মে বিশিষ্ট কমিউনিস্ট নেতা মালয়পুরম সিঙ্গারাভেলু চেত্তিয়ার চেন্নাইয়ে লাল পতাকা তুলেছিলেন। ভারতের ইতিহাসে এই প্রথম পতাকা উত্তোলন হল। আগামী শতাব্দীতে, এই পতাকা ভারতে সাম্যবাদের প্রতীক হয়ে ওঠে। তবে সেই মুহূর্তটিতে দেশটি মে দিবস উদযাপনের সঙ্গে পরিচিত হয়েছিল।

বছরের পর বছর ধরে বেশিরভাগ দেশে, বিশেষ করে চিন, উত্তর কোরিয়া, কিউবা এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের কমিউনিজমের জন্য তারিখটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ছিল। কমিউনিস্ট আন্দোলনের অংশ হওয়ার আগে সিঙ্গারাভেলু ছিলেন একজন কট্টর গান্ধীবাদী। ১৯২৩ সালের ১ মে যখন তিনি প্রথমবারের মতো লাল পতাকা উত্তোলন করেছিলেন, তখন তিনি তাঁর নিজস্ব দল লেবার কিষান পার্টি অফ হিন্দুস্তান প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। শ্রমিক দিবসের ধারণার সাথে দেশকে পরিচয় করিয়ে দিতে সিঙ্গারাভেলু চেন্নাইতে দুটি সভায় সভাপতিত্ব করেন - একটি মাদ্রাজ হাইকোর্টের বিপরীতে সমুদ্র সৈকতে এবং অন্যটি ট্রিপলিকেন সৈকতে। সিঙ্গারাভেলু তাঁর পার্টি এবং সাধারণভাবে শ্রমিক আন্দোলনের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করে ১ মে ছুটির দিন হিসেবে ঘোষণা করার আহ্বান জানান।

যদিও পরবর্তী দুই বছরে তাঁর দলের পতন ঘটে, তবুও শ্রমিকদের প্রচেষ্টাকে সম্মান জানানোর জন্য দেশ মে দিবস উদযাপন করে চলেছে। বিশ্বের ৮০ টিরও বেশি দেশ এই দিনটিকে জাতীয় ছুটির দিন হিসাবে উদযাপন করে।