প্রতি মাসে মেয়েদের ঋতুস্রাব হওয়া খুব আবশ্যিক একটা বিষয়। তবে কখনও কখনও
সেই তারিখ এগিয়ে বা পিছিয়ে আসে স্বাভাবিকভাবেই। তবে কখনও আবার মাসিকের সময়ে ঘুরতে যাওয়া
বা বিয়ে বাড়ি পরে। সেক্ষেত্রে মাসিকের তারিখ এগোনোর বা পিছানোর দরকার পড়ে। অনেক সময়
ওষুধ খেয়ে তারিখ পিছিয়ে থাকেন মহিলারা। তবে তা কিন্তু স্বাস্থ্যের পক্ষে হিতকর নয়।
এর অনেক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে। যার কারণে মহিলাদের অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।
তবে ওষুধ ছাড়াও প্রাকৃতিক উপায়েও মাসিক ডেট বিলম্বিত করা যায়। দেখে নিন ঘরোয়া টোটকাগুলি-
হলুদ ও আখেরগুড়- মাসিকের তারিখ এগোতে
চাইলে এই উপায় আপনার দারুণ কাজে আসতে পারে। মাসিকের নির্ধারিত তারিখের এক সপ্তাহ বা
১০ দিন আগে থেকে এক গাঁট হলুদ আর আখেরগুড় দিয়ে সকাএ খালি পেটে খান। একটানা খাওয়ার পরই
পাবেন ফল।
আপেল সিডার ভিনেগার- আপনি যদি আপনার
পিরিয়ডের তারিখ এগোতে চান তবে আপনি এটি খেতে পারেন। এক টেবিল চামচ আপেল সিডার ভিনেগার
গরম জলে মিশিয়ে আপনার নির্ধারিত তারিখের ১০ থেকে ১২ দিন আগে সেবন করুন।
আরও পড়ুন: রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে জলের সঙ্গে মিশিয়ে নিন শুধুমাত্র এই উপাদান, ব্যস নিমেষে গায়েব সমস্ত সমস্যা
আরও পড়ুন: টনসিলের ব্যথায় কুপোকাত? মুক্তি দিতে পারে এই ঘরোয়া উপায়গুলি
মুলতানি মাটি- মুলতানি মাটিও মাসিকের
তারিখ অগ্রসর করার জন্য খুব উপকারী প্রমাণিত হতে পারে। এর জন্য ২৫ থেকে ৩০ গ্রাম মুলতানি
মাটি ইষদুষ্ণ গরম জলে মিশিয়ে মাসিকের এক সপ্তাহ আগে সেবন করুন।
সর্ষের বীজ- এক চামচ সর্ষের
দানা সারারাত জল/দুধে ভিজিয়ে রাখুন এবং মাসিক শুরু হওয়ার এক সপ্তাহ আগে খেয়ে নিন।
এটি আপনার পিরিয়ড বিলম্বিত করতে পারে।
শসা- শসার শীতল প্রভাব
পিরিয়ড বিলম্বে সাহায্য করতে পারে। এটা বলা হয় যে ঠান্ডা খাবার আপনার পিরিয়ড বিলম্বিত
করতে সাহায্য করতে পারে। শসা শরীরে শীতলতা দেয় এবং তাই এটি আপনার পিরিয়ড বিলম্বিত
করতে উপকারী প্রমাণিত হতে পারে। মাসিকের তারিখের প্রায় এক সপ্তাহ আগে এটি সেবন করুন।
লেবুর রস- আপেল সিডার ভিনেগারের
মতোই হালকা গরম জলে লেবুর রস মিশিয়ে পান করলে পিরিয়ড দেরি হতে পারে। জলে লেবুর রস
মিশিয়ে পান করলে পিরিয়ডের সময়ে আসা সব সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এটি পিরিয়ডের
ব্যথা কমাতে এবং রক্ত প্রবাহকে হালকা করতে সাহায্য করতে পারে।