সম্প্রতি প্রকাশ পেয়েছে প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার জীবনী ‘আনফিনিশড’। আর তাতেই প্রকাশ পাচ্ছে একের পর এক অজানা বিষয়। কিছুদিন আগেই তিনি
বলেছেন সিনেমায় অভিনয় করার জন্য এক পরিচালক তাঁকে বলেছিলেন স্তন ও নিতম্বের আকৃতি
বৃদ্ধি করতে। শুধু তাই নয়, এক পরিচালক যে গানের শ্যুটিংয়ের
সময় অন্তর্বাস দেখাতে বলেছিলেন, তাও জানিয়েছেন পিগিচপস। এবার
আরও একটি তথ্য সামনে আনলেন তিনি। জানালেন রুপোলি জগতের রাস্তা মোটেই সবসময় মসৃণ হয়
না।
রুপোলি জগতের মানুষেরা অনেক সময় সব তথ্য অনুরাগীদের সামনে
আনতে ভয় পান। যেমন অভিনেত্রী শ্রীদেবী নিজের সৌন্দর্য ধরে রাখার জন্য শরীরে একাধিক
অস্ত্রোপচার করিয়েছিলেন। কিন্তু এই তথ্য সামনে এসেছিল শ্রীদেবীর অকাল প্রয়াণের পর।
প্রিয়াঙ্কা চোপড়া অবশ্য খুল্লম খুল্লাতেই পছন্দ করেন। সম্প্রতি প্রিয়াঙ্কা
জানিয়েছেন ২০০১ সালের একটি ঘটনার কথা। এই সময়টাই তিনি লন্ডনে ছিলেন। হঠাৎই প্রচন্ড
ঠান্ডা লেগে যায় পিগিচপসের। অ্যাজমা থাকার কারণে শুরু হয় শ্বাসকষ্ট।
স্বাভাবিকভাবেই আর দেরি না করে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন প্রিয়াঙ্কা। চিকিৎসক
জানান নাকের মধ্যে সৃষ্টি হওয়া একটি পলিপের জন্যই এই শ্বাসকষ্টের সমস্যা হচ্ছে।
অস্ত্রোপচার করে তবেই ওই পলিপ বাদ দেওয়া সম্ভব। অস্ত্রোপচারের ফলে চিকিৎসক নাকের
এমন একটি অংশ বাদ দেন যাতে নাকের আকার নষ্ট হয়ে যায়। প্রথম দিকে বোঝা না গেলেও
নাকের ব্যান্ডেজ খোলার পরে দেখা যায় প্রিয়াঙ্কার নাক একদম বদলে গিয়েছে। ফলে বদলে
গিয়েছে তাঁর মুখের গড়ন।
স্বভাবতই প্রচন্ড ভয় পেয়ে যান প্রিয়াঙ্কা ও তাঁর মা মধু
চোপড়া। নিজেকেই নিজে চিনতে পারছিলেন না প্রিয়াঙ্কা। যতবার আয়না দেখতেন ততবার ভেঙে
পড়তেন। মিডিয়াও তাঁকে তকমা দিয়ে দেয় ‘প্লাস্টিক চোপড়া’। সব মিলিয়ে প্রশ্নের মুখে এসে দাঁড়ায় প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরীর কেরিয়ার।
এদিকে তখন তিনটি হিন্দি ও একটি তামিল সিনেমায় অভিনয়ের জন্য
সই করে ফেলেছিলেন প্রিয়াঙ্কা। কিন্তু নাকের সার্জারির পর রটে যায় যে প্রিয়াঙ্কার
মুখ আমূল বদলে গিয়েছে। তারপরই একটি
প্রোজেক্ট থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয় তাঁকে। আর এক জায়গা থেকে ‘বরফি’
অভিনেত্রী শোনেন, তাঁকে আবার লুক টেস্ট দিতে
হবে বড় পর্দায় কেমন লাগবে তা দেখার জন্য।
এইভাবেই জীবনের নানা সময়ের বিভিন্ন টুকরো টুকরো অভিজ্ঞতার কথা ‘আনফিনিশড’-এর মধ্য দিয়ে সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন
পিগিচপস।