অনেকেই রয়েছেন যারা রাতে সময়মতো
ঘুমান না। বেশিরভাগ সময়তেই মানুষ ফোনের স্ক্রিন ঘাঁটতে ঘাঁটতে ঘুমানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু তা হয় না। ঘুম আর আসে না, ওদিকে ঘড়ির কাঁটা চলতে থাকে। দেখা যায় ঘুম আসতে আসতে চারটে।
যারা এরকম ১টা থেকে ৩টের মধ্যে জেগে থাকেন তাঁরা যে কী ভুল করছেন তা তাঁরা নিজেও
হয়তো জানেন না।
রাত্রিবেলা অর্থাৎ অন্ধকারের সঙ্গে
সেরোটোনিন হরমোনের বৃদ্ধির সম্পর্ক রয়েছে।
এটি মনকে শান্ত করতে এবং ঘুম আনতে সাহায্য করে। এছাড়াও, এটি দ্রুত চোখের চলাচল (REM) কে প্রভাবিত করে যা ইলেক্ট্রোফিজিওলজিকাল, নিউরোকেমিক্যাল, জেনেটিক এবং
নিউরোফার্মাকোলজিক্যাল ভিত্তিতে ঘুমের ক্ষেত্রে অন্যতম প্রধান ভূমিকা পালন করে।
এমন পরিস্থিতিতে, রাত্রিবেলা এই
সময়ের মধ্যে না ঘুমিয়ে জেগে থাকলে শরীরে অনেক পরিবর্তন ঘটে যা মানুষকে দীর্ঘমেয়াদি অসুস্থ করে তুলতে পারে। এতে সেরোটোনিন হরমোন কমতে শুরু করে।
এর পাশাপাশি ডোপামিন হরমোনের ঘাটতি হয়। এমন অবস্থায় শরীরে হরমোনের ভারসাম্যহীনতা
চলে যায় এবং মস্তিষ্ক অনেকক্ষণ কাজ করতে থাকে। এই কারণে মস্তিষ্ক বিশ্রাম নিতে পারে
না, শরীরের বাকি অংশকেও বিশ্রাম দিতে
দেয় না। এতে বেশ কিছু রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
১. উদ্বেগ
এই সময়ে যারা রাত জেগে থাকেন, তারা তাদের শরীরের বিন্যাসের বিপরীতে কাজ করেন। এটি শরীরের
জন্য এক ধরনের চাপ। এতে হরমোনের ভারসাম্যহীনতা দেখা দেয়, যার কারণে উদ্বেগের সমস্যা সবচেয়ে বেশি বেড়ে যায়। ফলে
মানুষ একটুতেই রেগে যায়, দুঃখ পায়।
২. উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা
যারা রাত ১২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত জেগে
থাকেন তাদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা হতে পারে। এই ধরনের মানুষেরা অল্প বয়সেই উচ্চ
রক্তচাপ এবং হার্ট সংক্রান্ত রোগের শিকার হতে পারে। কারণ শরীর অতিরিক্ত চাপ বহন
করছে।
আরও পড়ুন: আপনার সময়টা কি একেবারেই ভাল যাচ্ছে না, অশুভ গ্রহের প্রভাব থেকে মুক্তি পেতে শাস্ত্র মেনে চলুন
আরও পড়ুন: শনিদেবকে তুষ্ট রাখতে শনিবার এড়িয়ে চলুন এই কাজগুলি
৩. স্ট্রোক এবং হার্ট অ্যাটাক
স্ট্রোক এবং হার্ট অ্যাটাক উভয়ই এই
ব্যক্তিদের মধ্যে সহজেই ঘটতে পারে। কারণ ঘুমের অভাব হৃদযন্ত্রকে অসুস্থ করে তোলে
এবং এটি রক্তনালীগুলিকেও প্রভাবিত করতে পারে যা যে কোনও সময় স্ট্রোক এবং হার্ট
অ্যাটাক ঘটাতে পারে।
৪. বিষণ্নতা
যারা কম ঘুমায় তারা বিষণ্নতার মতো
মানসিক রোগে আক্রান্ত হতে পারে। সেরোটোনিনের ঘাটতি হ্যাপি হরমোনের ঘাটতির দিকে
পরিচালিত করে। এতে ওভারথিঙ্কিং এবং নেতিবাচক চিন্তার জন্ম দিতে পারে, যা দুঃখে পরিণত হতে পারে এবং মানুষ সহজেই বিষণ্ণতার শিকার হতে পারে।