উত্তপ্ত পশ্চিমী বাতাস বেলুচিস্তান
থেকে করিডোর তৈরি রাজস্থানে প্রবেশ করছে। তারপর সেখান থেকে উত্তর প্রদেশ হয়ে
দেশের অন্যান্য রাজ্যে প্রবাহিত হচ্ছে। জ্বলছে উত্তরপ্রদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ড, পশ্চিমবঙ্গ সহ অর্ধেক ভারত। ১৩টি রাজ্যে তাপমাত্রা প্রায়
৪১ ডিগ্রি।
ওড়িশায় তাপপ্রবাহে ৬২ বছর বয়সী এক
ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। আগামী চার দিন পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। হিট
স্ট্রোকের কারণে মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছে। সতর্কবার্তা জারি করেছে আবহাওয়া বিভাগ।
অকালে চুল ঝরে পড়ছে, সঙ্গে ত্বকের সমস্যা, কেবল দু’দিনে করুন এই ছোট্ট কাজটি
প্রচন্ড গরমে হিটস্ট্রোক খুবই
মারাত্মক। সাধারণত মে ও জুন মাসে তাপপ্রবাহ দেখা দিলেও কয়েক বছর হল তাপপ্রবাহ
শুরু হচ্ছে এপ্রিল মাস থেকেই। এই গরম বাতাস শুধু ত্বকেরই ক্ষতি করে না
স্বাস্থ্যেরও ক্ষতি করে। এই মরসুমে সময়মতো সচেতন না হলে সমস্যা বাড়তে পারে। গত
৫০ বছরে হিট স্ট্রোকের কারণে ১৭,০০০-এর বেশি মানুষ
মারা গিয়েছেন এই গরম বাতাসে হিটস্ট্রোকের কারণেই। এমন আবহাওয়ায় সকাল ১১টা থেকে
বিকেল ৪টের মধ্যে ঘরের বাইরে বের হলে শরীরে জলের অভাব দেখা দিতে পারে এবং
পানিশূন্যতার সমস্যা বাড়তে পারে। এই সময়ে বেশিক্ষণ রোদে থাকলে হিট স্ট্রোকের
ঝুঁকি বেড়ে যায়।
হিট স্ট্রোকের লক্ষণ
১) যখন কোনও ব্যক্তি দীর্ঘক্ষণ গরম
বাতাস ও সূর্যের আলোতে থাকে, তাঁর মুখ ও মাথা
দীর্ঘক্ষণ সূর্যের আলো ও গরম বাতাসের সংস্পর্শে এসে সানস্ট্রোকে আক্রান্ত হন।
২) হিট স্ট্রোকের কারণে শরীরের
তাপমাত্রা দ্রুত বাড়তে থাকে। হিটস্ট্রোকের কারণে শরীরে পানিশূন্যতার সমস্যা বেড়ে
যায়।
৩) হিটস্ট্রোকে ঘাম বন্ধ হয়ে যায়
এবং তাপ শরীর থেকে বের হতে পারে না। শরীরে ক্র্যাম্প দেখা দেয় এবং দুর্বলতা
বাড়তে থাকে।
৪) হিটস্ট্রোক এলে অজ্ঞান হয়ে
যাওয়া এবং মাথা ঘুরতে শুরু করে। ব্যক্তি বিভ্রান্ত হয়ে পড়ে এবং তাঁর মানসিক
অবস্থাও প্রভাবিত হয়।
৫) শরীর গরম এবং লাল হয়ে উঠলেও ঘাম
হয় না। হৃদস্পন্দন দ্রুত বৃদ্ধি পায়। শ্বাস-প্রশ্বাস দ্রুত বাড়তে থাকে।
কোমরের ব্যথায় নাজেহাল, ঘরোয়া টোটকাতেই হবে কেল্লাফতে
হিটস্ট্রোক স্বাস্থ্যের কীভাবে ক্ষতি
করে
আপনি যদি দীর্ঘ সময় ৪০ ডিগ্রি
সেলসিয়াসে থাকেন তবে আপনি হিটস্ট্রোক বা সানস্ট্রোকে আক্রান্ত হতে পারেন।
হিটস্ট্রোকের কারণে শরীরের অনেক গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
তাপপ্রবাহের প্রভাবে মস্তিষ্ক, কিডনি, লিভার, হার্ট এবং পেশী
ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এটি বেশিরভাগই ব্যক্তির কিডনিকে প্রভাবিত করে। জলের অভাবে
কিডনি ঠিকমতো কাজ করতে পারে না এবং শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে যায়। হিট
স্ট্রোকের কারণে রোগীর অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এমনকি
রোগীর মৃত্যুও হতে পারে।
কীভাবে তাপপ্রবাহ বা হিটস্ট্রোক থেকে
শরীরকে রক্ষা করবেন
গরমে শরীরকে হিটস্ট্রোক থেকে বাঁচাতে
বেশি করে জল পান করুন। বেশি করে ফলের রস এবং ওআরএস খান। শসা, তরমুজ ও ডালিম খান। বেশিক্ষণ গরমে থাকা এড়িয়ে চলুন। ঠান্ডা তাপমাত্রায় থাকার চেষ্টা করুন। অবশ্যই সুতির জামা পরুন।
Tatasha
Apr 30, 2024 03:29 [IST]Tayari
Apr 28, 2024 12:23 [IST]