বহু প্রসাধনী তৈরিতে নানা রকমের রসায়নিক ব্যবহার করা হয়।
আর দীর্ঘদিন ধরে প্রসাধনী ব্যবহারের কারণে আপনার ত্বকের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে।
ঠিক যেমন ফেয়ারনেস ক্রিম ব্যবহারের ফলে ফর্সা হন না, উল্টে ত্বকে দাগছোপ
বাড়ে।
আজকাল অনেক প্রসাধনীতেই দাবি করা হয় যে প্রাকৃতিক ও ভেষজ উপাদান
রয়েছে।
ভেগান পণ্য দিয়ে তৈরি সেই প্রসাধনী। হাজার খানেক টাকা খরচ করে
প্রসাধনী কেনেনও। কিন্তু ফল মেলে না মনের মতো।
প্রসাধনীর পিছনে টাকা খরচ করার বদলে হেঁশেলের প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে
ত্বকের দেখভাল করুন। প্রাকৃতিক উপাদান ত্বকের উপর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ফেলে না। তার
আগে বাজারচলতি কোন-কোন প্রসাধনী ত্বকের ক্ষতি করে, দেখে নিন এক নজরে।
এক্সফোলিয়েশন ত্বকের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এটি ত্বকের উপরিতলে জমে থাকা
মৃত কোষ,
ময়লা, জীবাণু পরিষ্কার করে দেয়। কিন্তু
বাজারচলতি শক্তিশালী এক্সফোলিয়েন্টস ত্বকে জ্বালাভাব ও প্রদাহ বাড়িয়ে তোলে। তাই
হেঁশেলে থাকা কফি, চিনি দিয়ে ত্বক স্ক্রাব করুন।
গরমে রোজই লোডশেডিং হচ্ছে, এই সময় দুধ ভাল রাখবেন কীভাবে জেনে নিন
এমন অনেক টোনার পাওয়া যায়, যার মধ্যে অ্যালকোহল রয়েছে।
অ্যালকোহল ত্বকের প্রাকৃতিক তেল ও পিএইচ স্তরের ভারসাম্য নষ্ট করে দিতে পারে।
গ্রিন টি কিংবা গোলাপ জলকে কাজে লাগান টোনার হিসেবে।
যে সব প্রসাধনীতে সুগন্ধ রয়েছে, সেগুলি সম্পূর্ণরূপে এড়িয়ে
চলুন। ফেসপ্যাক যদি ব্যবহার করতেই হয়, বেসন, টক দই, হলুদ, টম্যাটোর মতো উপাদান দিয়ে প্যাক বানিয়ে ফেলুন। এগুলি
ত্বকের উপর ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলে না।
বাজারে ট্যান রিমুভাল প্যাক পাওয়া যায়। সেগুলি
মুখে মাখা মাত্র ত্বক জ্বলতে শুরু করে। কিন্তু আপনি যদি শুধু টক দই দিয়ে ট্যান
তোলেন, ত্বক কোমল থাকে। পাশাপাশি ত্বকে সতেজতা অনুভব করা
যায়।
রোদে বেড়িয়ে শরীরে লু লেগে গিয়েছে, ভরসা রাখুন ঘরোয়া টোটকায়
মেকআপ রিমুভার হিসেবে যে সব পণ্য বাজারে পাওয়া যায়, সেগুলি ত্বকের প্রাকৃতিক তেল নষ্ট করে দেয়। পাশাপাশি ত্বককে রুক্ষ করে দেয়। তাই
মুখ থেকে মেকআপ তুলতে নারকেল তেল, আমন্ড অয়েলের মতো
প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করুন।