এই বছর বুদ্ধ জয়ন্তী পালিত হবে ৫ মে। বিশ্বজুড়ে বৌদ্ধ ও হিন্দুরা ভগবান
গৌতম বুদ্ধের জন্মতিথিকে বুদ্ধ জয়ন্তী হিসেবে পালন করে। ভগবান বুদ্ধ ৫৬৩ খ্রিস্টপূর্বাব্দের
পূর্ণিমা তিথিতে লুম্বিনীতে সিদ্ধার্থ গৌতম নামে রাজপুত্র হিসেবে জন্মগ্রহণ করেন। তাই
তার জন্মদিনটি বুদ্ধ পূর্ণিমা বা বৈশাখী বুদ্ধ পূর্ণিমা হিসাবে পালিত হয়। শ্রীলঙ্কা,
মায়ানমার, কম্বোডিয়া, জাভা, ইন্দোনেশিয়া, তিব্বত, মঙ্গোলিয়া এই সমস্ত দেশ বুদ্ধ
জয়ন্তীর বিশেষ দিনটিকে উৎসব হিসেবে পালন করে। প্রকৃতপক্ষে বুদ্ধ জয়ন্তীর তারিখটি
এশিয়ান চন্দ্র সৌর ক্যালেন্ডারের উপর ভিত্তি করে, তাই এর তারিখ প্রতি বছর পরিবর্তিত
হয়।
ভগবান গৌতম বুদ্ধই একমাত্র যিনি জন্ম ও পুনর্জন্মের চক্র থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন।
তিনি ছিলেন একজন দার্শনিক, আধ্যাত্মিক পথপ্রদর্শক এবং ধর্ম প্রচারক। যিনি বোধগয়ার
একটি বটবৃক্ষের নিচে ৪৯ দিন ধরে একটানা ধ্যান করার পর জ্ঞান লাভ করেছিলেন এবং ব্যথা
অবসানের রহস্য প্রকাশ করেছিলেন।
গৌতম সারনাথে তাঁর প্রথম ধর্মোপদেশ দেন। ৪৫ বছর ধর্ম, অহিংসা, সম্প্রীতি
ও দয়ার পথে চলার প্রচার করেন। বৌদ্ধ ধর্ম সম্পূর্ণরূপে ভগবান বুদ্ধের শিক্ষার উপর
ভিত্তি করে তৈরি। তথ্যমতে, রাজপরিবারে জন্মগ্রহণ করেও তিনি বিলাসবহুল জীবন ত্যাগ করেন
এবং ৩০ বছর বয়সে গৃহত্যাগ করেন।
হিন্দু বিশ্বাস অনুসারে, ভগবান বুদ্ধকে ভগবান বিষ্ণুর নবম অবতার বলে মনে
করা হয়। বুদ্ধ পূর্ণিমার গুরুত্ব অপরিসীম। এই দিনে সারা বিশ্বের বৌদ্ধ সম্প্রদায়,
মঠগুলি প্রার্থনা এবং মন্ত্র পাঠ করে। এছাড়াও, এই দিনে তাঁর শিক্ষা নিয়ে আলোচনা করা
হয়। বুদ্ধ জয়ন্তীতে পবিত্র গঙ্গায় ডুব দিলে সমস্ত পাপ ধুয়ে যায়।