আজ পালিত হচ্ছে বুদ্ধ পূর্ণিমা উৎসব। এই উৎসব বৌদ্ধ ক্যালেন্ডারে একটি গুরুত্বপূর্ণ
দিন। এই দিনটি মহাত্মা বুদ্ধের জন্মদিন হিসেবে পালিত হয়। কিছু মানুষ বিশ্বাস করেন
যে বুদ্ধ হলেন ভগবান বিষ্ণুর নবম অবতার।
বৌদ্ধধর্মের সমৃদ্ধ ইতিহাস ও সংস্কৃতির এক ঝলক দেখা যাবে ভারতের এই সব জায়গায়।
চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই স্থানগুলি কী কী।
ধামেখ স্তুপ, সারনাথ:: উত্তরপ্রদেশের সারনাথে অবস্থিত ধামেখ স্তূপ বৌদ্ধদের
জন্য অত্যন্ত বিশেষ। এটি এক গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক এবং ধর্মীয় স্থান যা আপনি শুধু
বুদ্ধ পূর্ণুমা কেন, বছরের যে কোনও সময় যেতে পারেন।
সাঁচি স্তূপ, মধ্যপ্রদেশ: খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় শতাব্দীর একটি দুর্দান্ত
বৌদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভ সাঁচি স্তূপ। এর কারুকার্য যে কোনও সৌন্দর্যপ্রেমী মানুষের মন কাড়তে
বাধ্য। ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটগুলির মধ্যে এটি একটি।
হেমিস মঠ, লাদাখ: হেমিস মনাস্ট্রি লাদাখের বৃহত্তম এবং সবচেয়ে বিখ্যাত
মঠগুলির মধ্যে একটি। এখানে দারুণ দারুণ সব রঙিন উৎসব হয়। প্রাচীন থাংকা এবং বিরল বৌদ্ধ
নিদর্শনের জন্য হেমিস মঠ পরিচিত।
ধরমশালা, হিমাচল প্রদেশ: নির্বাসিত তিব্বত সরকারের সদর দফতর এখানে। দালাই
লামাও এই স্থানে থাকেন। ধরমশালা তিব্বতি বৌদ্ধধর্ম এবং সংস্কৃতির একটি সমৃদ্ধ কেন্দ্র।
মহাবোধি মন্দির, বোধগয়া: বৌদ্ধ ধর্মের জন্মস্থান ছাড়াও এই স্থানটি ইউনেস্কোর
একটি বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান। এখানে রয়েছে বিখ্যাত বোধিবৃক্ষ যার নীচে বসে ভগবান বুদ্ধ
জ্ঞান লাভ করেছিলেন।
তাওয়াং মঠ, অরুণাচল প্রদেশ: ভারতের বৃহত্তম এবং গুরুত্বপূর্ণ মঠগুলির মধ্যে
একটি হল অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং মঠ। এখানে আপনি গৌতম বুদ্ধের একটি বিশাল সোনার মূর্তি,
প্রাচীন ধর্মগ্রন্থ এবং আশেপাশের পাহাড়ের অত্যাশ্চর্য দৃশ্য দেখতে পাবেন।
অজন্তা গুহা, মহারাষ্ট্র: এটি ভারতের সবচেয়ে সূক্ষ্ম বৌদ্ধ পাথর-কাটা গুহাগুলির
মধ্যে কয়েকটি, যা ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের তালিকারও অন্তর্ভুক্ত। এই গুহাগুলি
গৌতম বুদ্ধের জীবন চিত্রিত অত্যাশ্চর্য চিত্র এবং ভাস্কর্য দ্বারা সজ্জিত।