চলতি বছর ৩০ মে গঙ্গা দশহরার উৎসব পালিত হচ্ছে। হিন্দু ধর্মে এই উৎসবের বিশেষ
গুরুত্ব রয়েছে। এই উৎসব প্রতি বছর জ্যৈষ্ঠ মাসের
শুক্লপক্ষের দশমী তিথিতে অনুষ্ঠিত হয়। এই দিনে মা গঙ্গাকে
পূর্ণ আচারের সঙ্গে পুজো করা হয়।
পুরাণ অনুসারে, জ্যৈষ্ঠ মাসের দশমী
তিথিতে মা গঙ্গা পৃথিবীতে অবতরণ করেছিলেন। তাই এই দিনটির বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। বলা হয় যে গঙ্গা দশহরার দিনে গঙ্গায়
স্নান করলে মানুষের সমস্ত পাপ ধুয়ে যায়। এই দিনে কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলে
অর্থলাভের নতুন পথ উন্মুক্ত হয় এবং ঋণ থেকে
মুক্তি পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: Vastu Tips: বাড়িতে এই ৫টি গাছ লাগালে দেবী লক্ষ্মীর কৃপা হয়, স্বাস্থ্যও থাকে অটুট
গঙ্গা দশহরার দিনে এই নিয়মগুলি মেনে চলুন
ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, গঙ্গা দশহরার দিনে
গঙ্গায় স্নান করলে একজন ব্যক্তি ১০ ধরনের পাপ থেকে মুক্তি
পান। চাকরির ক্ষেত্রে বাধার সম্মুখীন হলে গঙ্গা দশহরার দিন একটি মাটির পাত্র এনে তাতে কয়েক ফোঁটা গঙ্গাজল দিন। এর সাথে অল্প চিনি যোগ করুন। তারপর এই পাত্রটি জলে ভরে কোনও
অভাবীকে দান করুন। এতে চাকরি ও ব্যবসার ক্ষেত্রে আসা সব বাধা দূর হবে।
আরও পড়ুন: বাড়িতেই বানিয়ে ফেলুন ডালের এই পদ, বাচ্চারাও খাবে চেটেপুটে
অনেকেই ঋণে ডুবে থাকেন, বহু
চেষ্টার পরেও দেনা থেকে মুক্তি মেলে না। এমন মানুষদের জন্য গঙ্গা
দশহরা খুব উপযোগী। এই দিনে, আপনার দৈর্ঘ্যের সমান একটি কালো কার
নিন এবং তারপর সেটি একটি নারকেলের উপর মুড়িয়ে শিবলিঙ্গের
সামনে রাখুন। তারপর ভগবান শিবের কাছে প্রার্থনা করুন এবং সন্ধ্যায় প্রবাহিত কোনও জলধারায় নারকেলটি ভাসিয়ে দিন।
অর্থ সংক্রান্ত সমস্যা থেকে মুক্তি
পেতে চাইলে গঙ্গা দশেরার দিন সকালে স্নান সেরে শিবের মন্দিরে যান। সেখানে গিয়ে
গঙ্গার জল দিয়ে শিবলিঙ্গে অভিষেক করুন। জলের পাত্রে সামান্য গঙ্গার জল সংরক্ষণ
করে বাড়িতে নিয়ে আসুন এবং তারপর সেই জল সারা বাড়িতে ছিটিয়ে দিন। এই প্রতিকার
করলে নেতিবাচকতা দূর হয় এবং অর্থের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
প্রায়ই পরিবারের সদস্যদের স্বাস্থ্য
খারাপ থাকে, তাহলে প্রতিদিন ঘরে গঙ্গাজল ছেটান। রোগবালাই বিদায় নেবে।
যদি কোনও ব্যক্তি শনির অশুভ প্রভাবে
বিচলিত হন এবং এর থেকে মুক্তি পেতে চান তবে একটি পাত্রে জল নিয়ে তাতে কয়েক ফোঁটা
গঙ্গাজল রাখুন। তারপর সেটি অশ্বত্থ গাছে অর্পণ করুন।
এতে শনির অশুভ প্রভাব কমে যাবে।