প্রত্যেক নারীদেরই প্রেগন্যান্সির সময়ে শরীরের পাশাপাশি মনের উপরও নানা প্রভাব পড়ে।  একজন মহিলার শরীরে নানা রকম হরমোনের পরিবর্তন হয়। তাই এই সময়ে চিকিৎসকেরাও জানান, মনকে সব সময়ে হাসিখুশি রাখতে। কোনও চিন্তা যেন না করেন। তার জন্য যদি পারেন কাছেপিঠে কোথাও বেড়াতেও যেতে পারেন। যাকে বেবিমুন বলা হয়ে থাকে। আলিয়া ভাট এবং রণবীর কপূরও সম্প্রতি ইতালিতে তাদের এই হানিমুন সেলিব্রেট করে ফিরেছেন। আপনিও যদি এই দম্পতির তালিকায় থেকে থাকেন, তাহলে আপনিও কয়েকটি বিষয় মাথায় রেখে বেড়াতে যেতে পারেন। এতে আপনার সন্তানেরও কোনও সমস্যা হবে না।

এই সময় আপনি কতটা সাবধানতা অবলম্বন করবেন বা প্রেগন্যান্সির কোনও সময়ে বেবিমুনে যাবেন, জেনে নিন বিস্তারিত।

বিয়ের পর নববিবাহিত দম্পতিরা হানিমুনে যান। বিগত বেশ কিছু বছরে বেড়াতে যাওয়ার ক্ষেত্রে বেবিমুন খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। নতুন সদস্যকে পরিবারে স্বাগত জানানোর আগে মা-বাবার এই নিজস্ব সময় কাটানো যেহেতু খুব দরকার।

আরও পড়ুন: নতুন বছরে একটু ঢুঁ মারতেই পারেন বারুইপুরের এই স্থান থেকে

আরও পড়ুন: জম্মু ও কাশ্মীরের এই ছয় স্থান স্বর্গের থেকে কম সুন্দর নয়

কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়

আপনি যদি ভ্রমণে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন তবে এখনই আপনার স্বামীর সঙ্গে বেবিমুনে আসুন। বেড়াতে গেলে মায়ের শরীরে ভাল অনুভূতির হরমোন নিঃসৃত হবে, যা মেজাজ এবং শক্তির স্তর উভয়ই উন্নত করবে। বিশেষ আপনার শরীর যদি ঠিক থাকে অসুস্থতা বা অন্য কোনও উপসর্গ না থাকলে আপনি যেতেই পারেন। চিকিৎসকরা গর্ভাবস্থার ১৪তম এবং ২৭তম সপ্তাহে ভ্রমণ করা নিরাপদ বলে মনে করেন। এই সময়ে মর্নিং সিকনেস কিংবা অন্য কোনও সমস্যা খুব একটা থাকে না, আর বেবি বাম্পও অতটা বোঝা যায় না।

কী কী সাবধনতা অবলম্বন করতে হবে?

আপনি যদি বিমানে যান, তবে দীর্ঘ দূরত্ব ভ্রমণ এড়িয়ে চলুন, না হলে আপনি ক্লান্ত হয়ে পড়তে পারেন। অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ মতো সমস্ত ধরনের ওষুধ আপনার সঙ্গে রাখবেন।