সনাতন যুগ থেকে হিন্দু ধর্মে বৈষ্ণোদেবী যাত্রা অত্যন্ত পবিত্র বলে বিবেচিত হয়। বলা হয় যে ভক্তরা আন্তরিক চিত্তে মায়ের দরবারে দর্শনের জন্য যান তাঁদের ইচ্ছা পূরণ হয়। তাই প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ ভক্ত মা বৈষ্ণোদেবীকে দেখতে আসেন। আপনি যদি আগামী দিনে বা নবরাত্রিতে বৈষ্ণোদেবী দর্শনে যান, তাহলে আপনি এর কাছাকাছি অবস্থিত সেরা পাহাড়ি স্টেশনগুলিতেও যেতে পারেন।

সানাসার হিল স্টেশন

বৈষ্ণোদেবী মন্দিরের আশেপাশে অবস্থিত, এটি একটি খুব সুন্দর এবং শান্তিপূর্ণ জায়গা। হিমালয়ের কোলে অবস্থিত এই স্থানটি অনেক আশ্চর্যজনক দৃশ্যের জন্য বিখ্যাত। এই সুন্দর জায়গায়, কেউ প্যারাগ্লাইডিং এবং রক ক্লাইম্বিংয়ের মতো আরও অনেক ক্রিয়াকলাপ উপভোগ করতে পারেন। পাহাড় এবং ঘন বনে ঘোরাঘুরি করতে পারেন। এখানে আপনি কাশ্মীরি রীতিনীতির আভাসও পেতে পারেন।

নাথ টপ

নাথ টপ সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৭ হাজার মিটারেরও বেশি উচ্চতায় অবস্থিত। নাথ টপ একটি অত্যন্ত সুন্দর এবং আশ্চর্যজনক পাহাড়ি স্থান। বলা হয়, ঋতু অনুযায়ী পাহাড়ের রং পরিবর্তন হয়। এই চূড়া থেকে শিবালিক পাহাড়ের পাশাপাশি কিশতওয়ার পর্বতমালার (কিশ্তওয়ার) চমৎকার দৃশ্য পাওয়া যায়। কথিত আছে, শীতকালে তুষারপাতের কারণে এই স্থানটি সাদা চাদরে ঢেকে যায়।

পাটনি টপ

আপনি যখন নাথ টপ পরিদর্শনে যাচ্ছেন, তখন আপনাকে অবশ্যই পাটনি টপ পরিদর্শনে যেতে হবে। হিমালয়ের কোলে অবস্থিত এই জায়গাটি পাইন গাছ, ঘন বন এবং উঁচু পাহাড়ের জন্য জনপ্রিয়। এখানে আপনি প্যারাগ্লাইডিং, রক ক্লাইম্বিং, ট্রেকিং ইত্যাদির মতো অনেক অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টসও উপভোগ করতে পারেন। কথিত আছে, শীতের মরসুমে বেশিরভাগ পর্যটক এখানে বেড়াতে আসেন।

সানাসার, নাথ টপ এবং পাটনি টপ ছাড়াও, মা বৈষ্ণো দেবী মন্দিরের আশেপাশে আরও কিছু দুর্দান্ত জায়গা রয়েছে যেখানে আপনি বেড়াতে যেতে পারেন। যেমন শিব খোরি/খোদি- শিব খোরি একটি গুহা। এই গুহায় ভগবান শিবের একটি প্রাচীন মন্দির রয়েছে। এই কারণে ভক্তরা এখানে দর্শনের জন্য আসেন। মানসার হ্রদ কাটরা থেকে প্রায় ৬১ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত মানসার হ্রদটিও দেখার জন্য একটি দুর্দান্ত জায়গা। রয়েছে বাহু ফোর্ট, এটি কাটরা থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ঐতিহাসিক বাহু দুর্গটিও দেখার জন্য একটি দুর্দান্ত জায়গা।