বিয়ের পর হানিমুনে যাওয়া মানেই প্রত্যেমক দম্পতিদের কাছে এক আলাদাই অনুভূতি থাকে। বিশেষ করে এখনকার কার দিনে মধুচন্দ্রিমার জন্য সকলেই বিদেশের স্থানকেই বেছে নেন। কিন্তু বিদেশ যাওয়া তো আর মুখের কথা নয়। বিয়েতে বহু টাকা খরচ করার পর এই টাকা খরচ করাটাও খুবই সমস্যাির। আর বিদেশ বলতে প্রথমেই যার কথা মাথায় আসে তা হল মালদ্বীপের সমুদ্র সৈকত।
সমুদ্র সৈকতে ঝকঝকে ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করাটাও নাকি আজকাল প্রয়োজনের মধ্যে পড়ে। কিন্তু সত্যি বলতে কি এসবের জন্যই যদি বিদেশ যাওয়ার কথা ভাবেন তাহলে তা দেশের মাটিতে করুন না কেন।দেশের অনেক হানিমুন ডেস্টিনেশন তথা সমুদ্র সৈকত মালদ্বীপের বিচকে হার মানাতে পারে। বিদেশ ভ্রমণের তুলনায় এসব স্থানে বেড়ালে খরচ অনেক কম হবে। এই যেমন আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের কথাই ধরা যাক।
হুবহু মালদ্বীপের মতো দেখতে এই দ্বীপপুঞ্জ হানিমুন কাপলদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয়। মালদ্বীপে গিয়ে হানিমুন করতে গেলে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ হয়ে যায়। অথচ আন্দামানে গেলে তার অর্ধেকও খরচ হয় না। আন্দামানে প্রায় ৩০০টি দ্বীপ রয়েছে। আন্দামানের রাজধানী পোর্ট ব্লেয়ার আজও এক রকম।
হ্যাভলক দ্বীপ তার ঘন আদিম অরণ্য, প্রবাল প্রাচীর, নীল রঙের সৈকত এবং অনেক সুন্দর দৃশ্য দ্বারা বেষ্টিত।
আন্দামানে চার দিনের ভ্রমণপ্রথম দিন : পোর্ট ব্লেয়ারে (সেলুলার জেল বা রস আইল্যান্ড) সময় কাটানো যেতে পারে।
দ্বিতীয় দিন : খুব ভোরে হ্যাভলক দ্বীপে ফেরি নিন এবং সেখানে সারা দিন উপভোগ করুন।
তৃতীয় দিন : সন্ধ্যায় হ্যাভলক দ্বীপ থেকে পোর্ট ব্লেয়ার পর্যন্ত ড্রাইভ।
চতুর্থ দিন : পোর্ট ব্লেয়ার ঘুরে নিতে পারেন।
ভ্রমণে কত খরচ হবে
কেউ যদি দিল্লি থেকে আন্দামান যান, তাহলে বর্তমান একমুখী টিকিটের দাম পড়বে প্রায় ৭০০০ থেকে ১০,০০০ টাকা। যদি কয়েক মাস আগে টিকিট বুক করেন তবে টিকিট খরচ কিছুটা কম হতে পারে।