শীতের সময়ে ঘুরতে যান কম-বেশি প্রায়
সকলেই। কিন্তু সেই দীঘা বা পুরী আর দার্জিলিং তো সকলেই যান। তাই একঘেয়েমি এই স্থান থেকে অন্য কোথাও যেতেই বেশি পছন্দ করেন সকলেই। তাই আপনি যদি এই সমস্ত স্থানে না যেতে
চান তাহলে আপনি যেতেই পারেন পুরুলিয়ার গহীন অরণ্যে। এখানেই রয়েছে দুয়ারসিনি।
ক্রমেই বাড়ছে বাঙালিদের মধ্যে এই জায়গার চাহিদা। যত দূর চোখ যায় শুধু শাল, পলাশ, সেগুনের সবুজ বনানী, আর সেই নির্জনতার মধ্যে মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে এমন সব
পর্যটনস্থল, যা দেখেলে প্রেমে না পড়াই কঠিন
ভ্রমণপিপাসুদের।
ছোট ছোট পাহাড়ের মাঝে রয়েছে ছোট ছোট
কয়েকটি কটেজ। সেখানেই পাখ-পাখালি দেখতে দেখতে নিরিবিলিতে কাটিয়ে দেওয়া যায় সময়।
আদিবাসী গ্রামও ঘুরে দেখতে পারেন। জঙ্গলে বন্য শূকর, ভল্লুক, হরিণের, হাতির মতো বিভিন্ন জন্তু দেখতে পাওয়া যায়।
দুয়ারসিনি থেকে ৩ কিলোমিটার দূরে
রয়েছে ভালপাহাড়। এই ভালপাহাড় থেকে সবুজ জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে আঁকাবাকা রাঙামাটির পথ
দেখা এক অন্য রকম অভিজ্ঞতা। বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি ‘গৌরীকুঞ্জ’, পঞ্চপাণ্ডব টিলা
বুরুডি লেক, ধারাগিরি ফলস।
কী ভাবে যাবেন?
ট্রেনে যেতে চাইলে হাওড়া থেকে
ঘাটশিলা যেতে হবে। হাওড়া-বারবিল জনশতাব্দী, ইস্পাত এক্সপ্রেস কিংবা লালমাটি এক্সপ্রেসের মতো একাধিক ট্রেন রয়েছে। হাওড়া
থেকে ট্রেনে ঘণ্টা তিনেক সময় লাগে। স্টেশন থেকে ছোট গাড়ি করে দুয়ারসিনি যাওয়া যায়।
দূরত্ব ২০ কিলোমিটারের কিছু বেশি।
আরও পড়ুন: আপনি কি ট্রেকিং করতে ভালবাসেন, তবে যাওয়ার আগে এই বিষয়গুলি মাথায় রাখুন
আরও পড়ুন: এই শীতে পাহাড় বা জঙ্গল নয়, হতে পারে ওড়িশার এই নয়া ঠিকানা
কোথায় থাকবেন?
দুয়ারসিনিতে রাজ্য সরকারের বন দফতরের
বাংলো রয়েছে। আধুনিক সব বন্দোবস্ত রয়েছে সেখানে। খাবারের ব্যবস্থাও আছে এখানে।
আদিবাসী গ্রামে ব্যক্তিগত উদ্যোগে কিছু থাকার জায়গার বন্দোবস্ত হয়েছে এখন। আগে
থেকে যোগাযোগ করে সেখানে থাকতে পারেন।