ব্যস্ততা, প্রতিযোগীতার ইঁদুর দৌড়, যান্ত্রিক জীবন থেকে অব্যাহতি চায় প্রতিটি
মানুষই। কিন্তু সব সময় সুযোগ না হলেও সুযোগ পেলে তা কিন্তু ব্যবহার করে নেওয়া দরকার।
জীবনের এই রোলারকোস্টার রাইডে এক মুঠো শান্তি এনে দেয় ভ্রমণ। কৃত্রিমতা থেকে প্রকৃতির
কোলেই তখন বিলীন হতে চায় মানুষ। দুর্ভেদ্য নিস্তবতা, অমোঘ শান্তি ভরে কাটাতে চায় কিছু
মুহুর্তে। সেক্ষেত্রে শহরের কোলাহল থেকে দূরে আপনার গন্তব্য হতে পারে কার্শিয়াং’এর
সিপাইধুরা।
এখানে কোথাও কোনও কৃত্রিমতার বালাই নেই। সবটাই একেবারে আদি, অকৃত্রিম প্রকৃতির
সমাহার। প্রকৃতির কওলে থেকেই তাঁর সান্নিধ্য অনুভব করতে পারবেন আপনি। পাহাড়ি শান্ত
স্নিগ্ধ পরিবেশ সরিয়ে দেব আপনার মনের সমস্ত বোঝা। সবুজের সমাহারে হারিয়ে যেতে চাইবেন
আপনি।
সিপাহিধুরা টি এস্টেটের কাছেই ভোটেবস্তি। পাহাড়ি রাস্তা ধরে আপনাকে হেঁটে
তিন কিলোমিটার পথে ট্রেকিং করে যেতে হবে সেই নির্জন গ্রামে। চড়াই পথে হাঁটার সময় চারপাশে
দেখবেন সবুজ মাখা পাহাড়। কাজেই অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমীরা নিরাশ হবেন না। কানে আসবে পাখির
কুজন। চারপাশে ফুলের সমারোহ। মিষ্টি সুবাস। ফটোগ্রাফারদের জন্যেও আদর্শ জায়গা।
ভোটে বস্তিতে পাহাড়ের কোলে হোমস্টে। পাহাড়ি গাছকে অবলম্বন করে তৈরি হয়েছে
হোম স্টের তাঁবু। থাকতে হবে সেখানেই। নির্জন, প্রত্যন্ত এলাকা। এখানে যেদিকেই তাকাবেন
সেদিকেই ভিউ পয়েন্ট। পাহাড়ের কোলে যে তাঁবুটিতে আপনি থাকবেন সেখানেও আঁচ করতে পারবেন
প্রকৃতির সান্নিধ্য। নাকে আসবে জঙ্গলের এক অদ্ভুত মন মাতানো গন্ধ, ঝিঁঝি পোকার ডাক।
সব মিলিয়ে এক আদিম পাহাড়ি বনে রাত্রিযাপনের অভিজ্ঞতা হবে আপনার।
তবে অনেকে বাইকেও যান এখানে। তবে ঝুঁকিপূর্ণ রাস্তা। সেক্ষেত্রে এই অ্যাডভেঞ্জার
ট্যুরে সতর্কতা বজায় রেখে আসাই ভাল।
কীভাবে যাবেন?
শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিংগামী গাড়িতে চেপে আপনাকে নামতে হবে কার্শিয়াংয়ের
সিপাহিধুরা টি এস্টেটের কাছে। তারপর হাঁটা পথে। গাড়ি যাবে না।