ভ্রমণপিপাসু মানুষেরা ঘুরতে ভালবাসেন এটি স্বাভাবিক একটি বিষয়। কিন্তু হানিমুন মানেই সেখানে থাকে আলাদাই এক অনুভূতি। কারণ প্রত্যেক নয়া দম্পতিদের কাছে এটিই হল দুজনে মিলে বিয়ের পর প্রথম এক সফর। আর সেটা কোনও স্পেশাল স্থানে হবে এটি সাধারণ একটি বিষয়। যদিও আজকালকার দিনে প্রায় সকলেই নিজের পছন্দ করা মানুষকে বিয়ে করেন তাই বিয়ের আগে থেকেই নানা জায়গায় ঘুরেও নেন এই প্রেমীক যুগল। কিন্তু যতই বিয়ের আগে ঘুরুক না কেন বিয়ের পর মধুচন্দ্রিমার আলাদাই এক অনুভূতি রয়েছে। আর তার জন্য সকলেই বিদেশে যাওয়ার কথা ভাবেন। তবে সময় আর অর্থের অভাবে তা পূরণ করা সব সময়ে সম্ভব হয়ে ওঠে না। তাই চিন্তা করার কোনও কারণ নেই এবার বিদেশ নয় হানিমুনের জন্য স্বদেশেই রয়েছে বেশ কিছু মোক্ষম স্থান।

রাজস্থান

পাহাড় বা সমুদ্র ছেড়ে মধুচন্দ্রিমায় ঘুরে আসতে পারেন বালির দেশ থেকে। মরুভূমির এই শহরটি সংস্কৃতি এবং শিল্পকলায় পরিপূর্ণ। আপনি যদি ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারির মধ্যে মধুচন্দ্রিমার পরিকল্পনা করে থাকেন, তা হলে চোখ বুজে বেছে নিতে পারেন মরুশহর জয়সলমের।

উটি, তামিলনাড়ু

মধুচন্দ্রিমার স্বাদই একেবারে নিয়ে যাবে এক অন্য মাত্রায়। ভ্রমণপ্রেমীদের কাছে জাদুকরী উপত্যকা নামে পরিচিত হয়েছে উটি। নতুন দম্পতিদের কাছে একেবারে মোক্ষম স্থান এটি। কারণ এখানে নিভৃতে কাটাতে পারেন অনায়াসেই।

আন্দামান ও নিকোবর দীপপুঞ্জ

মধুচন্দ্রিমা করতে গেলে পরতে পরতে রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতার অধিকারী হবেন আপনি। একান্তে সময় কাটানোর জন্য আন্দামান-দীপপুঞ্জ হতে পারে আপনার সেরা ঠিকানা। একেবারে রোম্যাঞ্চে ভরপুর এই স্থান। বিয়ের পর প্রথম দুজনের জন্য একা কাটানোর স্থান এটি।

লেহ লাদাখ, জম্মু ও কাশ্মীর

আপনি যদি আপনার মধুচন্দ্রিমায় রোমাঞ্চের স্বাদ পেতে চান তা হলে প্যাংগং হ্রদের পাশে তাঁবু খাটিয়ে রাত্রিযাপনের ব্যবস্থা করেন তা হলে নিঃসন্দেহে সেটি আপনার নতুন বিবাহিত জীবনের সবচেয়ে স্মরণীয় অভিজ্ঞতা হতে পারে। যদি আপনি বাইকে চড়তে ভালোবাসেন তা হলে লাদাখে গিয়ে বাইক ভাড়া করে নিতে পারেন।