উত্তরাখণ্ডের বিখ্যাত চারধাম যাত্রা মে মাসের প্রথম
সপ্তাহে শুরু হয়েছে। চারধামের অন্যতম কেদারনাথ শীতের জন্য বন্ধ থাকার পরে ৬ মে
খুলেছে। যেটি উদ্বেগজনক তা হল করোনা এখনও যায়নি। চারধাম খুলে দেওয়া মানেই শেখানে
বিপুল জনসমাগম হবে। তাই বিশেষজ্ঞরা এখানে বিশাল সমাবেশের বিরুদ্ধে পরামর্শ
দিয়েছেন।
স্থানীয়রা জানিয়েছে, কেদারগ্রাম দিনে ১০,০০ মানুষের থাকার যোগ্য। সীমিত ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও, কেদারনাথ যাওয়ার পথে পড়া গৌরীকুণ্ডে একবার ২০,০০০
লোকের জনসমাগম হয়েছিল। এই তথ্য বর্তমান চিত্রের বিচারে সত্যিই চিন্তার। সেই সময় কর্তৃপক্ষ
বাধ্য হয়ে কে গৌরীকুণ্ডে ভক্ত সমাগমে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। দেখা দিয়েছিল স্থান
সংকুলান। ফলে প্রবল ধাক্কাধাক্কিতে এক অনভিপ্রেত পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছিল। হোটেলে
জায়গা না থাকায় ২ ডিগ্রি তাপমাত্রার মধ্যে তীর্থযাত্রী খোলা আকাশের নিচে রাত
কাটাতে হয়েছিল। যারা ঘর পেয়েছিলেন তাঁদের গেঁটের কড়ি খসেছিল প্রচুর।
আরও পড়ুন: Kolkata Police: নিরাপত্তার কথা ভেবেই, কলকাতা পুলিশের তরফে রাতে কর্মরত সার্জেন্টদের হাতে তুলে দেওয়া হবে সাইড আর্মস
আরও পড়ুন: Noise Pollution: রাস্তাঘাটে শব্দদূষণ কমানোর জন্য চালু হতে চলেছে নয়া নিয়ম
এদিকে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। বর্তমান পরিস্থিতিতে
কেদারযাত্রা আবার ২০১৩’র পুনরাবৃত্তি ঘটাবে না তো? সেই বছর ধ্বংসযজ্ঞ চলেছিল উত্তরাখণ্ডে। বন্যা এবং ভূমিধসের কারণে কেদারনাথ
হয়ে উঠেছিল ভয়াবহ। সেই দুর্যোগে সরকারিভাবে মৃতের সংখ্যা ছিল ৬০০০ এরও বেশি। আটকে
পড়েছিলেন প্রায় ৩০০,০০০ তীর্থযাত্রী। তাঁদেরকে বাঁচাতে
ব্যাপক উদ্ধারকার্য চালানো হয়েছিল।
চারধাম তীর্থযাত্রা প্রতি গ্রীষ্মে ৬ মাস দর্শনার্থীদের
জন্য উন্মুক্ত থাকে। মে এবং জুনের শীর্ষ মরসুমের পরিবর্তে জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর
পর্যন্ত পরিদর্শনের পরামর্শ দেওয়া হয়। বলা হয়, তীর্থযাত্রীরা
তখন আরও ভালভাবে তীর্থযাত্রা করতে পারে, পাশাপাশি ভ্রমণ,
থাকা, খাবার এবং আরও অনেক কিছুর জন্য সাশ্রয়ী
ব্যবস্থা করতে পারেন। প্রকৃতপক্ষে, স্থানীয়রা মনে করেন যে
অক্টোবর মাস হল কেদারনাথ ভ্রমণের সেরা মাসগুলির মধ্যে একটি, যখন
মন্দিরটি সাধারণত দিনে মাত্র এক হাজার দর্শনার্থী দেখে।