আর কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা। আগামী বুধবার দুপুর থেকেই শুরু হয়ে যাচ্ছে বিশ্ব
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল। বড় প্রতিযোগিতার ফাইনাল নিয়ে উত্তেজনা তুঙ্গে সমর্থকদের।
এদিকে সবুজে মোড়া পিচ দেখে বুক দুরু-দুরু করছে টিম ইন্ডিয়ার। কিন্তু আরও একটি বিষয়
দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে কোহলি’দের জন্য। তা হল ডিউকস বল। জানেন এর বিশেষত্ব
কী?
ভারতে টেস্ট খেলার জন্য ব্যবহার করা হয় এসজি বল। অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়া তাঁদের
দেশের মাটিতে টেস্ট খেলে কোকাবুরা বল দিয়ে। কিন্তু ডিউকস্ বলে টেস্ট খেলায় অভ্যস্ত
নয় যুযুধান দুই দল। ক্রিকেট জগতে সাধারণত এই তিন ধরণের বলে টেস্ট খেলা হয়।
বিশ্ব ক্রিকেটে টেস্ট খেলা দেশগুলি সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করে কোকাবুরা। এই
বল দিয়ে ৮টি দেশে ক্রিকেট খেলা হয়৷ কোকাবুৱা অস্ট্রেলিয়া, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড, বাংলাদেশ, জিম্বাবোয়ে এবং আফগানিস্তানে ব্যবহৃত হয়। যদিও ইংল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজে ডিউকস বল দিয়ে খেলা হয়। ভারতই একমাত্র দেশ যারা এসজি বল ব্যবহার
করে।
আরও পড়ুন: রোহিত-কোহলি নয়, বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে দ্রাবিড় ভরসা করছেন এই ব্যাটারকে
আরও পড়ুন: কখন, কোন চ্যালেনে সম্প্রচারিত হবে WTC ফাইনাল, মোবাইলে কীভাবে দেখবেন ম্যাচটি জেনে নিন
বলগুলির বিশেষত্ব কী?
ইংল্যান্ডে তৈরি ডিউক বলের সীম একটু উঠে থাকে। এই বলের সেলাই হাত দিয়ে করা হয়। ৬০ ওভার
পর্যন্ত এই বল ভাল থাকে৷ বোলাররা ২০-৩০ ওভারের পরেই এই বল থেকে রিভার্স সুইং-এর
সুবিধা পান।
কোকাবুরা এবং এসজি বল রিভার্স সুইং খুব একটা হয় না। বোলারদের নিজেদের দক্ষতায় রিভার্জ সুইং করাতে
হয়। তবে ৫০ ওভারের পর থেকে এই বলে সামান্য রিভার্স সুইং হয়। এসজি বল ভারতে তৈরি। এর
সেলাইও ডিউকসের মতো হাত দিয়ে করা হয়। এসজি বলের সীম উপরে ওঠা থাকে। তাই
এই বল ফাস্ট বোলারদের চেয়ে স্পিনারদের বেশি সাহায্য করে।
কোকাবুরা বল শুধুমাত্র
অস্ট্রেলিয়ায় তৈরি হয়। মেশিন দিয়ে এর সেলাই করা হয়। এর সীম চাপা হয়। এই বল
প্রাথমিক ২০ থেকে ৩০ ওভার ফাস্ট বোলিংয়ের জন্য ভাল। পাশাপাশি ব্যাটিংয়ের জন্যও
ভাল। সীম প্রেসিংয়ের কারণে, এই বলটি অন্যান্য
বলের তুলনায় স্পিনারদের জন্য কম সহায়ক।
রিভার্স সুইং-এর দিক থেকে সবচেয়ে ভাল ডিউকস বল। এসজি
বলের তুলনায় এই বলের সীমের সুতো সরু হয়। যার ফলে স্পিনের থেকে সুইং বেশি হয়। আর এই
কারণে সমস্যায় পড়তে পারেন ভারতীয় ব্যাটাররা।