তৃতীয় দিনের শেষে বিষয়টা জলের মতই পরিষ্কার ছিল যে, সেমিফাইনালে যাচ্ছে
মুম্বই। আজ বৃহস্পতিবার (৯ জুন) বেলা গড়াতেই সেই ছবি আরও স্পষ্ট হয়ে গেল। মুম্বই শুধু
সেমিতেই গেল না গড়ে ফেলল বিশ্বরেকর্ড।
দ্বিতীয় ইনিংসে উত্তরাখণ্ডকে মাত্র ৬৯ রানে অল আউট করার সুবাদে ৭২৫ রানের
ব্যবধানে জয় পায় মুম্বই। আর এটিই হল এই মুহূর্তে প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটের ইতিহাসে সর্বোচ্চ
ব্যবধানে জয়। মুম্বই এ দিন ১৯২৯-৩০ সালে গড়া নিউ সাউথ ওয়েলসের রেকর্ড ভেঙে দেয়। নিউ
সাউথ ওয়েলসের ৬৮৫ রানে কুইন্সল্যান্ডকে পরাজিত করে সেই রেকর্ড করেছিল। প্রায় ৯২ বছর
আগের রেকর্ড ভেঙে নতুন ইতিহাস লিখল পৃথ্বী শ'র মুম্বই।
সোমবার (৬ জুন) টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা খুব একটা ভালো হয়নি
মুম্বইয়ের। প্রথম ইনিংসে মুম্বইয়ের পৃথ্বী শ (২১), যশস্বী জয়সওয়ালরা (৩৫) ব্যর্থ হয়েছেন।
তাতেও মুম্বইকে আটকাতে পারেনি উত্তরাখণ্ড। সুভেদ পার্কার, সরফরাজ খানরা দুরন্ত ছন্দে
মুম্বইকে রানের পাহাড়ের উপর বসিয়ে দেন। সরফরাজ খান ১৫৩ এবং সুভেদ পার্কার ২৫২ করে
মুম্বইয়ের সেমিতে যাওয়ার পথ পরিষ্কার করে দেন। এ ছাড়াও আরমান জাফের ৬০ এবং শামস মুলানি
৫৯ রান করেন।
আরও পড়ুনঃ West Indies vs Pakistan: ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে শতরান হাঁকিয়ে বিরাটের রেকর্ড ভাঙলেন বাবর
আরও পড়ুনঃ ICC Test Rankings: টেস্টের ক্রমতালিকায় পদোন্নতি হল রুটের, শেষ ম্যাচে ভাল পারফরম্যান্স করেও একধাপ নীচে নামলেন বুমরাহ
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শামস মুলানির আগুনে বোলিংয়ের সামনে অসহায় মনে হয়
উত্তরাখণ্ডের ব্যাটিং অর্ডারকে। প্রথম ইনিংসে ৪১.১ ওভারে ১১৪ রানে অল আউট হয়ে যায় উত্তরাখণ্ড।
ওপেন করতে নেমে একমাত্র কমল সিং ৪০ রান করেন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান রবিন বিস্তের ২৫।
তৃতীয় সর্বোচ্চ মাত্র ১২ রান। দীক্ষাংশু নেগিও ১২ রান করেছেন। বাকিরা কেউ ২ অঙ্কের
ঘরেই পৌঁছতে পারেননি।
মুম্বইয়ের দ্বিতীয় ইনিংসে অবশ্য পৃথ্বী ৮০ বলে ৭২ করেন। যশস্বী ১৫০ বলে
১০৩ রান করেন। ৫৭ করেছেন আদিত্য তারে। তৃতীয় দিনের শেষে মুম্বইয়ের স্কোর ৩ উইকেটে ২৬১
রান ছিল। ৭৯৪ রানে এগিয়ে ছিলও মুম্বই। চতুর্থ দিন আর ব্যাট করেনি মুম্বই। ইনিংসের সমাপ্তি
ঘোষণা করে দেয়। প্রায় ৮০০ রানের বোঝা কাঁধে নিয়ে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় ইনিংসে আরও
শোচনীয় দশা হয় উত্তরাখণ্ডের। শিবম খুরানার অপরাজিত ২৫ এবং কুনাল চাণ্ডেলার ২১ বাদ দিলে
বাকিরা কেউ পাঁচ রানের গণ্ডিও টপকাতে পারেননি। উত্তরাখণ্ডের পাঁচ জন ব্যাটার শূন্যতে
আউট হয়ে যান। শামস মুলানি দুই ইনিংস মিলিয়ে ৮ উইকেট নেন। দ্বিতীয় ইনিংসে মুলানির ৩
উইকেট ছাড়াও ধবল কুলকার্নি এবং তনুশ কোটিয়ান ৩টি করে উইকেট নেন।