আর কয়েক ঘন্টার অপেক্ষা। শনিবার বেঙ্গালুরু এফসি’র সঙ্গে সম্মুখসমরে নামছে
এটিকে মোহনবাগান। মাণ্ডবীর তীরে মহারণের জন্য প্রস্তুত দুই শিবির। তবে এই যুদ্ধে নেই
বারুদ, নেই হিংসা। রয়েছে ফুটবল, আবেগ এবং চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আকাঙ্খা। দুই মরসুম আগে
গোয়ার মাঠেই মুম্বই সিটি এফসি’র বিরুদ্ধে হেরে আইএসএল ট্রফি হাতছাড়া হয়েছিল সবুজ-মেরুনের।
এবার সেই জয় পাওয়ার লক্ষ্যে ‘যুদ্ধাং দেহি’ মনোভাব প্রীতম কোটাল’দের। অন্যদিকে, নিজেদের
এখনও পর্যন্ত ধীর-স্থির রেখেছেন সুনীল ছেত্রী’রা। এটাই কি তাদের স্ট্র্যাটেজি?
২০১৪-১৫ মরসুমে আইলিগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল মোহনবাগান। সাত-আট বছর আগের এই
ম্যাচে সুনীলদের বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে ড্র করেও আই লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল সবুজ-মেরুন
দল। এই ম্যাচে বেঙ্গালুরু’র হয়ে খেলেছিলেন সুনীল। কিন্তু দলকে জেতাতে পারেননি তিনি।
তবে এরপর থেকে বেশ কয়েক বছর কেটে গিয়েছে। একের পর এক দলকে হারিয়ে ট্রফিও জিতেছে বেঙ্গালুরু।
কিন্তু ফাইনালে সবুজ-মেরুনকে পায়নি তারা। তবে এবার সেই মাহেন্দ্রক্ষণের সামনে সুনীল।
গোয়ায় বিলাসবহুল হোটেলে একসঙ্গে রয়েছে বেঙ্গালুরু-মোহনবাগান। ফাইনালের আগে দুই দলের
খেলোয়াড়দের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক ফুটে উঠেছে। তবে ভিতরে ভিতরে বদলা নেওয়ার মেজাজে
কি রয়েছেন রয় কৃষ্ণ, প্রবীর দাস, সন্দেশ ঝিঙ্গন’রা? ভাল পারফরম্যান্স করলেও একটা সময়
তাদের ছেড়ে দিয়েছিল বাগান। তাই ফাইনালে মেরিনার্সদের হারাতে চাইবেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: ISL চ্যাম্পিয়ন হতে সুনীল ছেত্রী'দের বিরুদ্ধে কেমন দল গড়তে পারে এটিকে মোহনবাগান দেখে নিন
আরও পড়ুন: ISL 2022-23: মান্ডবির তীরে সবুজ-মেরুন তরী ভাসাতে ফেরান্দোর ভরসা সঙ্ঘবদ্ধ ফুটবল
হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে শেষ দুই ম্যাচে ৪-২-৩-১ ফরমেশন নিয়ে খেলেছেন মোহনবাগান
ফুটবলাররা। তবে ফাইনালে আশিক খেললে মনবীরকে স্ট্রাইকার হিসাবে রাখতে পারেন জুয়ান। শেষ
দুই ম্যাচে উইঙ্গারের ভূমিকায় দেখা গিয়েছে তাঁকে। কলকাতা ডার্বি’র আগে তিলোত্তমায় যে
মেজাজ থাকে, গোয়ায় বর্তমানে সেই মেজাজ রয়েছে বলে মনে করছেন প্রীতম’রা। তিনি বলেছেন,
“সবাই জানে মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গলের মধ্যে ডার্বির উত্তেজনা কেমন। তারপর যদি সবচেয়ে
বেশি লড়াই বা উত্তেজনা থাকে কোনও ম্যাচে, সেটা আমাদের সঙ্গে বেঙ্গালুরুর। দলটার জন্মের পর থেকেই এই রেষারেষিটা চলছে।
২০১৫–তে ওদের মাঠে আটকে আইলিগ জেতার পর সেটা আরও বেড়েছে। তাই এটা
আমার কাছে আর একটা ডার্বির সমান। শনিবার গোয়ার মাঠে সেই টেম্পোতেই খেলা হবে ফাইনালে।
ওদের দলে পার্থক্য গড়ে দেওয়ার মতো একাধিক ফুটবলার আছে। সেটা মাথায় রেখেই সেরা দিতে
তৈরি আমরা। কৃষ্ণ, প্রবীরদের সঙ্গে
একসঙ্গে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। এবার ওরা
প্রতিপক্ষ দলে। সুবিধা–অসুবিধার কিছু নেই।
একটা বিষয় পরিষ্কার, ট্রফি জিততে শুধু
ওদের নিয়ে ভাবলে হবে না, গোটা বেঙ্গালুরু
দলটাকে আটকাতে হবে।”