দুরন্ত জয় পেল এটিকে মোহনবাগান। শনিবার গোয়ায় আইএসএল-এর ফাইনালে দুরন্ত পারফরম্যান্স করল জুয়ান ফেরান্দোর দল। বেঙ্গালুরু এফসি'র বিরুদ্ধে এই দিন পিছিয়ে গিয়েও নির্ধারিত সময়ের শেষ বাঁশি বাজার আগে সমতা ফেরায় বাগান। এরপর অতিরিক্ত সময়ে আর গোল করতে পারেনি দুই দল। টাইব্রেকার(৪-৩) পর্বে সুনীল ছেত্রীর দলকে হারাল সবুজ-মেরুন দল। ২০১৩ সালে আই লিগ ফাইনালে বেঙ্গালুরু'র বিরুদ্ধে ড্র করে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল মোহনবাগান। এই দিন গোয়ায় সেই জয়ের ধারা বজায় রাখল তারা। দুই মরসুম আগে আইএসএল ফাইনালে হারে মোহনবাগান। এবার বেঙ্গালুরু'কে হারিয়ে সেই বদলা নিল সবুজ-মেরুন বাহিনী।
প্রথমার্ধে দাপুটে ফুটবল খেলে এটিকে মোহনবাগান। ফাতরদা স্টেডিয়ামে এই দিন ম্যাচের শুরু থেকেই ভাল পারফরম্যান্স করতে দেখা গেল সবুজ মেরুনকে। নিজেদের মধ্যে পাস খেলে আক্রমণ সাজচ্চিলেন মনবীর সিং, হুগো বুমোস'রা। ডিফেন্সে ভাল পারফরম্যান্স করতে দেখা গেল প্রীতম কোটাল-স্লাভকো ড্যামজানোভিচ'কেও। ১৪ মিনিটের মাথায় লিড নিল মোহনবাগান। ম্যাচের প্রথম কর্নার থেকে সুযোগ আসে তাদের। দিমিত্রির ইনসুইং কর্নার হেডে ক্লিয়ার করতে গিয়ে বক্সের ভিতর হ্যান্ড বল করে ফেলেন রয় কৃষ্ণ। ফলে পেনাল্টি পেয়ে যায় সবুজ মেরুন। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে গোল করেন দিমিত্রি(১-০)। এ দিন ম্যাচের চতুর্থ মিনিটেই মাথায় চোট পান শিব নারায়ণ। তাঁর বদলে মাঠে নামতে হয় সুনীল ছেত্রী'কে। ২৪ মিনিটের মাথায় দুরন্ত সেভ দিলেন বিশাল কাইথ। বক্সের সামনে থেকে জাভি হার্নান্দেজের মারা ফ্রি কিক বাজপাখির মতো লাফিয়ে সেভ দেন বিশাল। প্রথমার্ধের শেষ লগ্নে শুভাশীষের জন্য সমতায় ফেরে বেঙ্গালুরু। বক্সের ভিতর থেকে বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে রয় কৃষ্ণ'কে ফাউল করেন তিনি। এরপর পেনাল্টি থেকে ফলাফল ১-১ করেন সুনীল।
দ্বিতীয়ার্ধে জমজমাট হয়ে ওঠে ম্যাচ। ৬০ মিনিটের মাথায় এক গোলে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ এসেছিল, কিন্তু একটুর জন্য তা নষ্ট হয়ে যায়। প্রায় ৩০ গজ দূর থেকে গোললক্ষ্য করে লিস্টনের মারা শট ডান দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে রুখে দেন গুরপ্রীত সিং সান্দু। ফিরতি বলেও দারুন সুযোগ পেয়েছিলেন দিমিত্রি। কিন্তু জোরে মারতে গিয়ে বলটিকে গোলে রাখতে পারেননি তিনি। ৬৪ মিনিটের মাথায় ফের একটি সুযোগ পেয়েছিল বাগান। কিন্তু তা থেকে গোল করতে পারেননি হুগো বুমোস। মনবীরের ভাসানো বলটি ধরেই শট মারেন হুগো, যা একটুর জন্য বাইরে চলে যায়। ৭৮ মিনিটের মাথায় রয় কৃষ্ণ'র গোলে লিড নেয় বেঙ্গালুরু। কর্নার থেকে ধেয়ে আসা বলে হেড দিয়ে গোল করেন প্রাক্তন মেরিনার্স ফুটবলার(১-২)। এরপর ৮৫ মিনিটের মাথায় সেই গোলশোধ করেন দিমিত্রি। কিয়ানকে বক্সে ফাউল করেন গোমেজ। পেনাল্টি দেন রেফারি। এই সুযোগ থেকেই দলকে লড়াইয়ে ফেরান দিমিত্রি(২-২)। এরপর আর গোল হয়নি। ৯০ মিনিটের শেষে অতিরিক্ত সময়ের দিকে গড়ায় ম্যাচ। কিন্তু এই পর্বেও ফলাফল অমীমাংসিত থেকে যায়। এরপর টাইব্রেকারে বাজিমাত করেন মোহনবাগান। বিশাল কাইথ তৃতীয় পেনাল্টি শট সেভ দেন। টাইব্রেকারে ৪-৩ গোলে জেতে মোহনবাগান।